বর্ণিল সাজে তিতুমীর কলেজ, চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি

চৈত্রের সংক্রান্তিতে কাল বৈশাখী ঝড়ের আভাস নিয়ে যখন আসে বৈশাখ তখন মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথের সেই গান ‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ’। হ্যাঁ, সত্যিই একদিন বাদেই বাঙালির প্রাণের বৈশাখ। যেদিন পুরনো বছরের জীর্ণ-ক্লান্তি রাত্রি কেটে নতুন বছরের সূর্যের অভ্যুদয় ঘটবে। বাঙালী মিলিত হবে তার সর্বজনীন এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। যে উৎসব শামিল হতে বর্ণিল সাজে সাজছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ক্যাম্পাস।
প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি তিতুমীর কলেজে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজনটিকে বর্ণিল করে  তুলতে ব্যস্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিরও যেন দম ফেলার ফুরসতও নেই। পহেলা বৈশাখের মূল আর্কষণ হিসেবে থাকছে  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৈশাখী  রঙ্গে রাঙিয়ে তুলতে মূল ফটক থেকে  শুরু করে বিজ্ঞান  ভবনের আঙিনা পর্যন্ত রাঙানো হবে আলপনায়। থাকবে বাঙালীর  ঐতিহ্যের দেশীয়  সংস্কৃতি। বিজ্ঞান ভবনের সামনে  আলোকিত হবে বৈশাখী মঞ্চ। সময়ের আলোকে এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির প্রধান ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তালাত সুলতানা।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিতা খন্দকার জানান, পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানানো সব কাজ প্রায় সম্পন্ন। এখন চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। রঙিন দাওয়াতের চিঠিগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
১৪ই এপ্রিল সকাল ৮.৩০ মিনিটে বিজ্ঞান ভবনের আঙিনায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফ হোসেন।  আয়োজনে থাকছে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বৈশাখী গান, কবিতা আর বিএনসিসি সদস্যদের পরিবেশনায় নৃত্য। এছাড়াও দিনব্যাপী নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হবে।
সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, বর্ষবরণের আয়োজনে বাঙালির সংস্কৃতিকে শতভাগ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকে আমাদের। ইতোমধ্যে আয়োজনকে সফল করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আয়োজক কমিটি। প্রতিবছর শোভাযাত্রার জন্য রঙ-বেরঙের মুখোশ তৈরি করা হলেও এবার রাষ্ট্রীয় নির্দেশনার কথা মাথায় রেখে মুখোশ তৈরি করা হচ্ছে না। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।
বৈশাখ উৎযাপনে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা জানান, পহেলা বৈশাখকে বরণ করার জন্য রাতদিন কাজ করলেও কোন ক্লান্তি স্পর্শ করতে পারেনি তাদের। লোকগান, বাউল গান, আবৃত্তির পাশাপাশি থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও বিশেষ আয়োজন। বিএসিসির এক সদস্য বলেন, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আমরা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবো। অপেক্ষা প্রাণে যে কখন বাজবে বৈশাখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment