নোয়াখালীর সেনবাগের উত্তর মোহাম্মদপুর গ্রামে এবার ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ নির্যাতিতা শিশুকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে তার বাবা বাদী হয়ে আবুল বাসার নামে ষাটর্দ্ধ এক ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় ওই শিশু পাশের বাড়িতে সহপাঠিদের সঙ্গে খেলছিলেন। এ সময় পাশের বাড়ির আবুল বাসার মেয়েটির মুখ চেপে ধরে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ভয় দেখানোর কারণে প্রথমে এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কিছুই বলেনি নির্যাতিতা শিশু। পরে তার শারীরিক অসুস্থতা দেখে জিজ্ঞাসা করলে সে বিস্তারিত জানায়।
এক পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি পুলিশে খবর দেয়। পরে বুধবার রাতে জেলার বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে সেনবাগ থানার পুলিশ ওই শিশুর বাড়িতে যান এবং তার বক্তব্য শুনেন। পরে তাকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মধ্যরাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
সেনবাগ থানার কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল আলী জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পর অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যায়। বর্তমানে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল আরএমও, সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গতরাতে শিশুটি হাসপাতালে র্ভতি হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা করা হচ্ছে রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল একই উপজেলার বসন্তপুর বাজারে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত রাজনকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করে।
