ফণী: ভোলায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১

ভোলায় ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপায় রানু বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোরের দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রানী বেগম ওই এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ভারী বর্ষণের সাথে প্রবল বেগে ঘুর্ণিঝড় শুরু হয়। এতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া ও কোড়ালিয়া গ্রামের দুই শতাধিক ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঘরচাপা পরে বেড়ী বাধে বসবাসকারী রানু বেগম নামের এক নারী মারা যায়।

অপরদিকে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হেলাল ও মামুন জানান, ভোরের দিকে ঘুর্ণিঝড়ে ইউনিয়নের ঢ়াড়ী বাড়ি, পাটওয়ারী বাড়ি, সরদার বাড়িসহ বেড়ী বাধের প্রায় দেড় শতাধিক ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় ঘরচাপায় বেড়ী বাধের বাসিন্দা রানু বেগম নিহত হয়।

এঘটনায় শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক নিহত ও ঘর বিধ্বস্তের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের যত দ্রুত সম্ভব নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে এবং আর্থিক সহায়তা করা হবে। এছাড়া নিহতের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment