নওগাঁয় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ

নওগাঁ পৌরসভা ও এর আশপাশের এলাকায় মশার উপদ্রবে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু মশা নিধনে দীর্ঘদিন ধরে চোখে পড়ার মতো কোনো কার্যক্রম নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও এ ব্যাপারে কার্যক্রম ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংগঠন। শনিবার শহরের স্থানীয় একটি রেস্তোরা মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দুই তরুণ রাজনীতিবিদ ও ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান মামুন ও বিএনপি নেতা শ ম আল কাফী তুহিন। এ সময় নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক ও ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান মামুন বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার কারণে শহরে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ ও অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পশ্চাৎপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনুসরণ ও জলাবদ্ধতার কারণে সহজেই মশার বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বছরের পর বছর ধরে নওগাঁ পৌরসভায় কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে মশার উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ মিলছে না পৌরবাসীর। মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এমনকি গবাদি পশুও রেহাই পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের অপরাগতার কারণে ও পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সম্প্রতি এলাকাভিত্তিক কিছু সে¦চ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধনে উদ্যোগী হয়েছে। এ অবস্থায় পৌর কর দেওয়ার পরেও সেবা খাতে অতিরিক্তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শ ম আল কাফী তুহিন বলেন, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পৌর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাসিন্দাদের সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। বংশবিস্থারের সময় মশার লার্ভাকে (বাচ্চা মশা) নিধণ বেশি প্রয়োজন। মশা জীবনচক্রের প্রথম ১০ দিন পানিতে কাটায়। এজন্য বাসাবাড়িতে কিংবা বাসাবাড়ির আশপাশে কোনো জায়গায় যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করলে মশার উপদ্রব থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পৌর মেয়র নজমুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পৌরসভার নিজস্ব আয় দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে হয়। কিন্তু পৌরসভার আয় অত্যন্ত সীমিত হওয়ার কারণে ব্যাপক পরিসরে ফগার মেশিন কিংবা স্প্রে করে মশক নিধন করা সম্ভব হয় না। তবে পৌরসভায় খুব শিঘ্রই আধুনিক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া নগর পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (ইউজিপ) প্রকল্পের আওতায় কিছু দিনের মধ্যে নওগাঁ পৌরসভায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন কার্যক্রম শুরু হবে। এই কাজগুলো হলে শহরে মশার উপদ্রব, জলাবদ্ধতা ও ময়লা-আবর্জনার সমস্যা থেকে অনেকটা রেহায় পাওয়া সম্ভব হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন