অধিবেশন শুরুর এক সপ্তাহ পর লোকসভায় পা রেখেছেন মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান। শপথ গ্রহণের পরদিনই সংসদে প্রথম বক্তব্য পেশ করলেন তারা। সেখানেই নিজেদের কেন্দ্রের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব হলেন দুই নব নির্বাচিত সাংসদ। সম্ভবত এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের তারকা সাংসদরা প্রথম দিনেই নিজেদের সংসদীয় অঞ্চলের সমস্যা লোকসভার সামনে আনলেন।
টালিউডের দুই প্রথম সারির নায়িকার রাজনীতিতে সবে হাতেখড়ি হয়েছে। সুতরাং, তাদের প্রথম বক্তব্যের দিকে নজর ছিল প্রত্যেকের। সেই প্রত্যাশা রাখতে কিছুটা হলেও সফল হলেন এই দুই তারকা সাংসদ। যাদবপুরের চম্পাহাটি ও সোনারপুর স্টেশনে ফ্লাইওভারের দাবি জানিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। সত্ত্বর সেই দিকে কেন্দ্র যাতে নজর দেয় সেই দিকেও জোর দিয়েছেন নায়িকা।
নুসরাত জাহান রুহি এদিন বলেন, বসিরহাট বর্ডার এলাকা। সে কারণেই প্রচুর সেনা মোতায়েন থাকে। তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও নিজের সংসদীয় এলাকা সম্পর্কে একটি ধারণাও দেন নায়িকা।
নুসরাতের কথায়, বসিরহাট লোকসভা এলাকায় প্রায় ৮৬.৮১ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন এবং ১৩.১৯ শতাংশ রয়েছে শহুরে। তাদের মধ্যে ২৫.৩৪ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ৬.৫৬ শতাংশ উপজাতির মানুষ রয়েছেন। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয় স্থাপনের অনুরোধ রেখেছেন সাংসদ।
প্রসঙ্গত, শপথ বাক্য পাঠ করার দিনে লোকসভার অধক্ষ্যের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে প্রশংসিত হয়েছেন দু’জনে। পরের দিন সংসদের প্রথম বক্তব্যেও নিরাশ করলেন না তারা। বোঝাই যাচ্ছে, বিয়ে মিটিয়ে রাজনীতিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন নুসরাত জাহান। আর অভিনয় সামলে রাজনৈতিক ময়দানের প্রস্তুতিতে মিমি চক্রবর্তীও।