রাজৈরে তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ বেধে ধর্ষণের অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পূর্ব সরমঙ্গল এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখে গামছা বেধে ভ্যানের গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে নুর হোসেন মৃধা (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত নুর হোসেন। বিষয়টি শালিস মিমাংশার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর থানার পূর্ব সরমঙ্গল গ্রামের মৃত রাজ্জাক মৃধার ছেলে নুর হোসেন মৃধা একটি ভ্যান গ্যারেজের ভিতরে নিয়ে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এসময় গামছা দিয়ে শিশুটির মুখ বেধে রাখে। পরে স্থানীয় এক নারী শিশুটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় দেখলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শিশুটির মা কিছুদিন আগে মারা গেছে। এদিকে ১ জুলাই সোমবার ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি শালিস মিমাংশা করার নামে সময়ক্ষেপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিশুটির বাবার। শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ের মুখে গামছা বেধে ধর্ষণ করেছে। পরে দেলোয়ার শেখ শালিস করে দিবে বলে আমার হাসপাতালে আসতে দেয়নি। পুলিশকে জানাতেও নিষেধ করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য শিশুকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। শিশুটি বর্তমানে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষিতা শিশুটি জানান, ওই দিন বৃষ্টি ছিলো। বৃষ্টির মধ্যেই ভ্যানের গ্যারেজে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেধে আমার সাথে খারাপ কাজ করছে। কারো কাছে না বলার জন্য হুমকিও দিয়েছে। বললে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখাইছে। শিশুটির বাবা বলেন, আমরা গরীব ও অহসায় একজন ভ্যান চালক মাস দুই আগে আমার স্ত্রী মারা যায় । আমার দুটি কণ্যা সন্তান আমার বড় মেয়েকে আমার ঘরের পাশে থেকে এমন কাজ করেছে তাকে কি করা উচিত? আমার মেয়েকে যে ভাবে ক্ষতি করলো লম্পট নূর হোসেনর কঠোর বিচার ও ফাঁই চাই। রাজৈর থানার কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। শিশুটির পরিবারের লোক আসলে মামলা নেয়া হবে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে সমস্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন