যশোরের মণিরামপুরে জমিজমাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ছোটভাই মফুজার ওরুফে মফু গাজীর হাসুয়ার কোপে আপন বড়ভাই মকবুল গাজী খুন হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল নয়টার দিকে উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত মকবুল গাজী ওই গ্রামের মৃত মকছেদ গাজীর ছেলে। ঘাতক মফুজার ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। এই ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
খবর পেয়ে মণিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব হাসান ও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত মকবুল গাজীর স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, গত দশ বছর ধরে শরিকের সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই বিরোধ নিয়ে প্রায়ই মফু তার বড় ভাইকে খুন করার হুমকি দিত। কয়েকদিন আগে সেই সম্পত্তি থেকে মফু চারটি গাছ বিক্রি করে। তার মধ্যে আমাদের একটি রেইনট্রি গাছ রয়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গাছ মারার খবর পেয়ে আমার স্বামী বাধা দেন। সেই থেকে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মফু।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমার স্বামী বাড়ির সামনে নিজের সারের দোকানে বসে ছিলেন। তখন বাড়ি থেকে হাসুয়া (বালি দিয়ে) ধারাল করে দোকানে যায় সে। সেখানে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় মফু। চিৎকার শুনে আমি ছুটে গিয়ে দেখি আমার স্বামী মাটিতে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত মকবুল গাজীর মা নাছিরন বেগম বলেন, ১০-১২ দিন আগে আমার ছোট ছেলে মফু ঘরে ঘুমতি দেবে না বলে আমার বালিশ-কাঁথা বাগানে ফেলে দেয়। আজ আমার বড় ছেলেরে খুন করিছে। আমি এই ছেলের বিচার চাই।
মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, নিহতের বাম বাহু ও বুকের বাম পাশে দুটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর আমরা তাকে মৃত পেয়েছি।
মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই তপন কুমার সিংহ বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ঘাতক পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।