এনজিও’র বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ারমার রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গারা। শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্যের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ছিলেন এনজিওরা। সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবিরে কিছু দেশি-বিদেশি এনজিও’র কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত শুরুসহ কঠোর অবস্থানে যান সরকার। এরমধ্যে এনজিও’র বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এনজিওদের বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, এনজিওরা মোনাজাত করবে বলে অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক মহাসমাবেশ করেছে। কয়েকটি এনজিও’র কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে, তা বিশ্বে বিরল। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে একমত পোষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র।

রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে এমনটাই জানিয়েছি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের ভৌগোলিক, পর্যটন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সবকিছুতে সমস্যা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে।

বিএনপি সম্পর্কে কাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, পলিটিক্স বা প্রশাসনিক যা-ই বলেন, দেশে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন