রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে নৃশংস জঙ্গি হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে যে দুই নির্ভীক পুলিশ কর্মকর্তা জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় নিহত হন তাদের একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল করিম।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। রায়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছেন নিহত রবিউলের পরিবার।
‘আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। এ রায় যেন পৃথিবীর বুকে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। আমি চাইনা পৃথিবীর আর কোনো মা অকালে তার সন্তানকে হারায়। কোনো সন্তান যেন এভাবে তার বাবাকে না হারায়। কোনো স্ত্রী যেন তার স্বামীকে না হারায়।’ এ সব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল করিমের মা কারিমুন্নেসা বেগম।
রবিউলের স্ত্রী উম্মে সালমা জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। দেশ ও দেশের বাইরের সবার কাছে যেন এই রায় অনুকরণীয় হয়ে থাকে। তাহলেই রবিউলের আত্মা শান্তি পাবে।
এসি রবিউল ইসলামের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস বলেন, ২৭ নভেম্বরের রায়টি হবে একটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে যে, দেশবাসী এবং সরকার জঙ্গিবাদকে কখনো প্রশয় দেয়নি বা দিবেও না। এই রায়ের দিকে শুধু দেশবাসী নয় বরং বিশ্ববাসীও তাকিয়ে আছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি মানুষদের জিম্মি করে। প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় মারা যান দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।