প্রেমঘটিত কারণেই রুম্পাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এদিকে রুম্পার ফোনের কললিস্টেও পাওয়া গেছে সৈকতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির প্রমাণ। মৃত্যুর দিনও ফোনে কথা হয়েছিল সৈকতের সঙ্গে। এদিকে ৪র্থ দিনের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ।
স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুম্পার মৃত্যুর পর পেরিয়েছে বেশ কয়েকদিন। শনিবার সাবেক প্রেমিক সৈকতকে গ্রেফতার করা হলেও মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার কারণেই হত্যা করা হয় রুম্পাকে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, রুম্পার প্রতি এই আব্দুর রহমান সৈকতের ক্ষোভ ছিল। সে কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। এ মামলায় লাশটাও গুম করা চেষ্টা করা হয়েছিল।
এদিকে রুম্পার ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মৃত্যুর দিন থেকে আগের তিনদিন রুম্পা ২৪ বার সৈকতকে ফোন দেন। এমনকি ঘটনার দিনও ৩ মিনিট তাদের কথা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, এ মামলায় যদি নির্বিড়ভাবে তদন্ত করা হয়, এবং তাকে যদি সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাহলে আশা করি, মামলার সঠিক রহস্য উঠে আসবে।
রুম্পার কারণেই স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন সৈকত। এমনকি ঘটনার পরপরই নারায়ণগঞ্জে এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে চলে যান। পরে আইনি জটিলতার কথা ভেবে আবার ঢাকায় ফিরে আসে।
সোমবারও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা রুম্পার মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, যদি এটা খুন কিংবা ধর্ষণ হয়। সেটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া আমাদের দাবি। যদি এটা সুইসাইড হয়ে থাকে এবং এর পিছনে যদি কারো প্ররোচণা থেকে থাকে, সেটাও আমরা শাস্তি চাই।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এটার সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছি। আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চাই। কিন্ত এখনো আমাদের সেই শক্তি টা হয়নি যে আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরবো।
বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।