ঘুষি মেরে নিরাপত্তাকর্মীর দুই দাঁত ভাঙলেন রোগীর স্বজন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা ডাক্তারকে খুঁজে না পেয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লাকে (৩২) বেধরক মারপিট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মারপিটে তার দুই দাঁত ও শরীরের একটি অঙ্গ ভেঙে গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ সমীর দাস (৪৫) ও টিটু দাস (৩০) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মতিলাল দাসের স্ত্রী লক্ষী রানী দাস ডায়রিয়া জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পর লক্ষী রানী রাত ৯টার দিকে টয়লেটে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগী লক্ষী রানীর ছেলে টিটু দাসসহ বেশ কয়েকজন কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের গালমন্দ করেন। এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লা প্রতিবাদ জানালে প্রথমে তাকে কিল-ঘুষি ও পরে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করেন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ৯টায় দিকে তিনজন লোক হাসপাতালে এসে জনৈক ডাক্তারকে খোঁজ করে না পেয়ে নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসকদের গালমন্দ করেন। এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লা তাদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে তারা কিল-ঘুষি ও পরে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতাল চত্ত্বরে পরিত্যক্ত ফোমে অগ্নিসংযোগও করে তারা।

জরুরি বিভাগের ডা. জীবন চন্দ্র দাস বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী ছায়েদ মোল্লার মুখের সামনের দুইটি দাঁতসহ তার হাতের একটি অংশ ভেঙে গেছে। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই জড়িত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন