আল্লাহ্ ধরে ধরে, ধরে না, ধরলে আবার ছাড়ে না

অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ৮ জানুয়ারি (বুধবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকি সাদুল্লাপুর নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ মাঠে তীব্র শীত উপেক্ষা করে লাখো লাখো নারী-পুরুষের ঢল, মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আযহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে।

তাফসীরুল কুরআন মাহফিল এর বক্তব্য আযহারী কুরআন ও হাদিসের আলোকে বলেন, আল্লাহতালা ধরে ধরে, ধরে না, ধরলে, কিন্তু ছাড়ে না। তাই আমাদেরকে সময় থাকতে সতর্ক হতে হবে। আল্লাহ সবকিছু দেখেন। নামাজ চুরি করা যাবেনা। নামাজে তাড়াহুড়া না করে নামাজের সকল নিয়ম রিলাক্সের সাথে আদায় করতে হবে।

এসময় তিনি এক সাহাবির উদাহরণ দিয়ে বলেন, সাহাবি তিন বার নামাজ পড়লেন। নবী করিম (সাঃ) থাকে তিন বারই বল্লেন নামাজ হয়নি। এসময় তিনি নবী করিম (সাঃ) কে হুজুর আপনি আমাকে নামাজ শিখিয়ে দেন। নবী তাকে নামাজ শিখিয়ে দিলেন। তাই নামাজ পড়তে হবে সঠিকভাবে।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল উপস্থিত ছিলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খান বিপ্লব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীনেওয়াজ, থানার ওসি মাসুদ রানা।

এর পূর্বে তিনি ৮ ই জানুয়ারি দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের আলতাফ নগরে লাখো লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষের জন্য অসংখ্য হালাল জিনিস তৈরি করেছেন। তার তুলনায় হারামের সংখ্যা নগন্য। আর আমরা সেই নগণ্য সংখ্যক হারাম জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আখেরাতকে নষ্ট করছি। তাই আসুন আমরা হারাম জিনিস থেকে প্রজন্ম ও নিজেদের রক্ষা করি।

উভয় তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আযহারী সারা বিশ্বে মুসলমান জাতির কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন