নবাবগঞ্জে মামলা-হামলার হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.
পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকার নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার দক্ষিণ চারিগ্রামের বাসিন্দা এ্যাডভোকেট রকিব-উল-হাসান ও তার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন মুক্তা আক্তার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রেসক্লাবে সভা কক্ষে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, বাস্তা গুলাইডাঙা গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী, চোরাকারবারী টিপু সুলতানের মামলা-হামলার হাত থেকে বাঁচতে স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ মাকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে আইনজীবি রকিব-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, টিপু সুলতান ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুতে পাথর সাপ্লাইয়ের নাম করে উদ্দেশ্যে প্রতারণার নাটক সাজায়। তার দুই বন্ধু ওমর ফারুক, আবুল কাশেম ও আমাকে নিয়ে একটি লিখিত ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র হয়। কিছুদিন পর যখন বুঝতে পারি পাথর ব্যবসার নাম করে সৌদি আরব থেকে হুন্ডি ব্যবসা করার ফন্দি আটছে টিপু। তাই আমি ঐ ব্যবসা থেকে সরে আসি। এরপর ২০১৯ সালের জুন মাসের তিন তারিখে টিপু স্থানীয় কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে আটক করে। পরে ভয় দেখিয়ে একটি সাদা চেক বইয়ে ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে আমি ওই বছরের জুন মাসের ১৮তারিখে মানিকগঞ্জ থানায় জিডি করি। এতেই ক্ষিপ্ত হয় টিপু সুলতান। পরে মানিকগঞ্জ থানায় ৮(৭)১৯, সিংগাইর থানায় ৩৩(৯)১৯, ৪৪(১০)১৯নং মামলায় দায়ের করে। যা ১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩৮৩/ ৪০৬/৫০৬/৩৮৫/৩৮৬/১১৪ ধারায় আমাকে, আমার স্ত্রী, আমার ছোট বোনের জামাই আলতাফ হোসেন ও টিপুর দুই বন্ধুসহ ৬ জনকে আসামী করে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের দাবী করে মামলা দায়ের করেন।
রকিব দাবী করেন, আমি হয়রানির শিকার। টিপুর ভয়ে বৃদ্ধ মা ছোট ছোট দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তাই পাশ্ববর্তী থানা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করতে হচ্ছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে চাই, টিপু একজন প্রতারক, অত্যাচারি, অবৈধ ব্যবসায়ী, জঙ্গী মদত দাতাকারী। তার হাত থেকে আমি রক্ষা পেতে ন্যায় বিচারের জন্য আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। আশা করি আপনাদের লেখার দ্বারা আমি জুলুমবাজ টিপুর হাত থেকে রক্ষাপাব।

আপনি আরও পড়তে পারেন