সিলেটের বিশ্বনাথে ১৮ মামলার আসামি ফটিক ওরফে লিটন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের সুড়িরখলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত ফটিক নিহত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
পরে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডাকাত সর্দার ফটিকের স্ত্রী হালিমা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফটিকের লাশ শনাক্ত করেন। বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে ফটিকের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
নিহত ফটিক ডাকাত উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (উত্তরপাড়া) মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র।
ফটিকের বিরুদ্ধে করা ১৮ মামলার মধ্যে ১১টি ডাকাতির, ৩টি অস্ত্র, ১টি ছিনতাই, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি ও ১টি অন্যান্য মামলা। এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে একদল ডাকাত বিশ্বনাথ জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতির নিচ্ছে এমন খবর তাদের কাছে এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান। খবর পেয়ে থানার ওসিসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে এক অজ্ঞাত নামা ডাকাত ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহতরা হলেন- এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাস।
বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় থাকা ১৮টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি ডাকাতির মামলা, ৩টি অস্ত্র মামলা, ১টি ছিনতাই মামলা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও ১টি অন্যান্য মামলা। তার বিরুদ্ধে থাকা এসব মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে, ডাকাত সর্দার দুর্ধর্ষ ফটিক ওরফে লিটনের মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বনাথ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানের লোকজনের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তারা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।