দুলাভাই পরিচয় দিয়েও রক্ষা হলো না কনের বাবার

বিয়ের সব আয়োজন শেষ। বরপক্ষ এসে গেলেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। তাই বধূ সাজে প্রস্তত করা হলো কনেকে। কিন্তু কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ সেখানে হাজির হয়ে বিয়ে থামাতে বলেন কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভুপালী সরকার।অবস্থা বেগতিক দেখে বিয়ের আসর থেকে বাড়ির পেছন দিয়ে সটকে পড়েন বরযাত্রীরা।

কিন্তু কনের বাবা পালাবেন কীভাবে! নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ডাকে সামনে গিয়ে কোনো রকমে রেহাই পেতে নিজেকে প্রথমে কনের দুলাভাই পরিচয় দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কনের বাবাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দয়াপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। কনের বয়স না হওয়ায় তার মামার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভুপালী সরকার জানান, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের মাধ্যমে একটি বাল্যবিয়ে হচ্ছে বলে তিনি একটি মেসেজ পান। এরপর তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দয়াপুর গ্রামের আজিজুল হকের বাড়িতে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি দেখতে পান, একটি বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বাড়িতে ঢোকার আগেই ঝামেলা এড়াতে বরযাত্রীরা বাড়ির পেছন দিয়ে সটকে পড়েন।

ভুপালী সরকার আরও জানান, মেয়ের বাবা আরিফ শেখ তার সামনে এসে প্রথমে নিজেকে মেয়ের দুলাভাই বলে পরিচয় দেন। তিনি সবকিছু যাচাই করে মেয়ের বয়স না হওয়ায় কনের বাবাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর গাড়িতে তোলা হলে দণ্ডিত ব্যক্তি আগে নিজেকে মেয়ের দুলাভাই পরিচয় দিলেও পরে স্বীকার করেন কনের বাবা তিনিই ।

আপনি আরও পড়তে পারেন