জনতা কারফিউতে সেবাদানকারী কর্মীদের স্বাগত কলকাতার

এবার জনতা কারফিউর মধ্যেও যারা জরুরি পরিষেবা কাজে নিয়োজিত ছিলেন তাদেরকে স্বাগত জানালেন ভারতবাসী। ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটায় যে যেখানে ছিলেন সেখানেই কেউ কাঁসর বাজিয়ে, কেউ ঘণ্টা বাজিয়ে স্বাগত জানান জরুরি পরিষেবা দানকারী কর্মীদের। 

আজ স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জনতা কারফিউ, যা চলবে স্থানীয় সময় রাত নটা পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কারফিউর সময়ে যে সমস্ত পুলিশকর্মী, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, জরুরি পরিষেবা দানকারী সংস্থা, ইন্টারনেট, পশুখাদ্য, শিশুখাদ্য, পানীয় জল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, এটিএম পরিষেবা দানকারী সংস্থার কর্মী এবং গণমাধ্যম কর্মী নিজেদের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে সেবা দিতে আসবেন, তাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই ভারতজুড়ে যেমন আজ পালিত হচ্ছে সফল একটি জনতা কারফিউ, ঠিক একইরকম ভাবে মানুষ উৎসাহ দিয়েছেন এই সমস্ত জরুরি সেবাদানকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সল্টলেকে নিজের বাড়িতে কাঁসরঘণ্টা এবং সাজিয়ে স্বাগত জানান সাফাই কর্মী জরুরি বিদ্যুৎ পরিষেবা দানকারী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশজুড়ে ভারতবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা ভাইরাস রুখতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এর মধ্যেও যে সমস্ত ভাই-বোনেরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের শুভকামনা থাকলো, জাতি তাদের কথা সারাজীবন মনে রাখবে।

প্রাক্তন আমলা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, সারা বিশ্বজুড়ে এখন ত্রাস এই চাইনিজ ভাইরাস, ভারতবর্ষের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করব সামাজিকভাবে যোগাযোগ কমিয়ে এই ভাইরাস রুখতে। কিন্তু যারা এই সময়ে আমরা যারা গৃহবন্দি থাকবো তাদের বিভিন্নভাবে পরিষেবা নিশ্চিত করবেন তাদের প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা থাকবে। আজকে সেই কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবেই আমরা শাঁখ-কাঁসর বাজিয়ে তাদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করলাম।

একটি ব্রডব্যান্ড সংস্থায় কর্মরত রাজু দাস বললেন, অধিকাংশ মানুষই এখন গৃহবন্দী। ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করছেন। তাই এই জরুরি সময়ে আমরা অন্য সময় মতই রাস্তায় থাকবো। যারা আমাদেরকে আজকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।

এদিকে এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৪৯। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই ভারতের ৭৫ টি জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতা শহর রাজ্যটির প্রায় সব জেলার পৌরসভা।

এছাড়া আজ থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন