বঙ্গবন্ধু খুনি মাজেদের ফাঁসি যে কোনো সময়

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাড়ে চার দশক পর গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে কারাকর্তৃপক্ষের একটি সূত্র আমার সংবাদকে নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসিতে আর কোন বাধা নেই

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। যে কোনো সময় আমরা ফাঁসি কার্যকর করতে পারব।’ এ বিষয়ে আমরা বসব। বসে সিদ্ধান্ত নেব কবে ফাঁসি কার্যকর করা যায়।

এদিকে ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের। তারা বলছেন, নির্দেশ পেলেই যেকোনো মুহূর্তে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ৩৪ বছর পর ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়।

খুব ধীরে দীর্ঘ বারো বছরে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে আইনের প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাবন্দি পাঁচ আসামির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়।

তারা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি পলাতক ছিলেন। তাদের মধ্যে আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পর ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন