স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শাজাহান খানের অভিযোগ

সরকার পরিচালিত কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার ভুল রিপোর্টে ইমিগ্রেশনে হেনস্তা হওয়ায় মেয়ের করোনা রিপোর্টের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিজে এসে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, ভুল রিপোর্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক।

গত ২৫ জুলাই লণ্ডন যাওয়ার উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে গেলে করোনা রিপোর্ট নিয়ে বাধার মুখে পড়েন সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। উপসর্গ থাকার পরও কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় বিমানবন্দর থেকে ফিরতে হয় তাকে। এরপর আবারো করোনা পরীক্ষা করা হলে ২৬ জুলাই করোনা পজেটিভ আসে ঐশীর।

একদিনের ব্যবধানে টেস্টের দু’রকম ফলাফল আসায় সমালোচনা শুরু হয় সা পর্যায়ে। কিন্তু রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান। এমন অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সোমবার লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহাজান খান বলেন, সরকারের নির্ধারিত জায়গায় কিন্তু স্যাম্পল দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার পরে, পরের দিন তাকে অনলাইনে জানানো হয়েছে তার রিপোর্ট নেগেটিভ। যথারীতি ওইদিন সন্ধ্যার সময় আমার এপিএস গিয়ে একটা সার্টিফির্কেট নিয়ে এসেছিলেন এবং এটা একটা লিখিত সার্টিফিকেট। একই কাউন্টার থেকেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। পরদিন সকাল বেলা আমরা সবাই এয়ারপোর্ট গিয়েছি। এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন থেকে বলা হল যে সে পজিটিভ। আমরা খুব অবাক হয়ে গেলাম। আমি আবার আমার এপিএস কে পাঠালাম। তখন একই কাউন্টার থেকে আরেকটা সার্টিফিকেট দেওয়া হল যে সে পজিটিভ।

এরপরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ আসার বিষয়ে ভুল স্বীকার করেন, ক্ষমাও চান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক বলেন, এই যে নেগেটিভ রিপোর্টটা ঐশী খান হাতে করে নিয়ে গিয়েছিলেন এই রিপোর্টটা আমাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভুলক্রমে তৈরি করা হয়েছিল। যেটি আমরা সংশোধন করেছি পরবর্তী ইমেইলের মাধ্যমে এবং আমরা যথাযথভাবে সেটি এমআইএস এর সফটায়ারে ডিএনসিসি বুথের সফটায়ারে এবং ইমিগ্রেশনের সফটায়ারে আমরা প্রেরণ করে দিয়েছি। আমাদের একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ছোট ভুলের কারণে উনার কাছে নেগেটিভ রিপোর্ট যায়। এটার পরিপ্রেক্ষিতে উনি জনসম্মুখে হেনস্তা হয়েছেন সেটা আমরা স্বীকার করি এবং আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এ জন্য।

তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ল্যাবরেটরির পরিচালক।

আপনি আরও পড়তে পারেন