সীমানাবিরোধ নিয়ে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মুখোমুখি অবস্থানে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় দুপক্ষই সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
ভারত নিরাপত্তার নামে ১শ’ ১৮টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। একইসঙ্গে ভারত-চীন দ্বন্দ্বে নাক না গলাতে আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে শি জিনপিং সরকার। তবে, আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংঘাত নিরসনের আহ্বান নয়াদিল্লির।
সীমান্তে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় মরিয়া ভারত ও চীন। লাদাখ সীমান্তে বিরোধের জেরে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে দু দেশই। মুখোমুখি অবস্থায় সেনারা। চলমান উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখের পূর্বাঞ্চলীয় চুসুল সেক্টর পরিদর্শনে যান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। এসময় আলোচনার মাধ্যমে সীমানা বিরোধ মিটমাটের অঙ্গীকার করেন তিনি।
গত জুনে গালওয়ানে চীনা সেনাদের হামলায় ভারতের ২০ সেনা নিহতের পর থেকে ভারত চীন দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। সবশেষ চলতি সপ্তাহে লাদাখে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সিকিম সীমান্তে এক ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহতের পর উত্তেজনার পারদ আরো তুঙ্গে ওঠে।
একদিকে সীমান্তে চীনের যে কোনো বেআইনি পদক্ষেপ কঠোরভাবে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী অন্যদিকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থিতিশীলতা রক্ষায় বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তভা বলেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাই চীনের কাছে আমাদের জোরালো আহ্বান, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে সীমান্ত এলাকা থেকে সব ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।
এদিকে, ভারতের স্বার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ১১৮টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। দেশটির দাবি, এরমধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাকে অমর্যাদা করেছে ভারত। একইসঙ্গে চীনা উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের মাধ্যমে ভারত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আইন ভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধের কারণে সবার আগে ভারতীয়দের অধিকার ও স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। একইসঙ্গে চীনা উদ্যোক্তাদের অধিকারও খর্ব করা হয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তের কারণে কোন পক্ষেরই কোনো লাভ হবে না বরং আরো ক্ষতি হবে।
একইদিন, ভারত-চীন দ্বন্দ্বের বিষয়ে নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে চীন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধান সমাধানে ভারত ও চীনই যথেষ্ট বলেও উল্লেখ করে বেইজিং।