বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে নতুন মোড়

বাংলাদেশ দলের কোয়ারেন্টাইন শিথিলে টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন এক শর্ত দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে দেশেই এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে টাইগারদের। এরপর সেখানে পৌঁছে থাকতে হবে আরও সাত দিন। তবে, অনুশীলনের বাধ্যবাধকতায় কিছুটা নমনীয় হয়েছে এস.এল.সি। দূরত্ব বজায় রেখে প্রথম সপ্তাহে অনুশীলনের সুযোগ পাবে ডমিঙ্গোর দল। পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্প শুরু করা যাবে দ্বিতীয় সপ্তাহে। সিরিজ সফলভাবে আয়োজনে সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি।

প্রতিদিনই যেন ভিন্ন মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ। একদিন মনে হয়, এই বুঝি ভেস্তে গেলো সিরিজটা! আরও বুঝি পেছালো দু’দলের ক্রিকেটে ফেরা! আবার পরদিনই নতুন করে আশা জাগে।

শর্ত শিথিলে বিসিবির দৃঢ় অবস্থানের মুখে বেশ নড়েচড়ে বসেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, একরকম হোটেল বন্দী থাকা কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না দেয়ার নিয়ম বিসিবির সম্মতি না থাকায় সরকারের শরণাপন্ন এসএলসি।

আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে লঙ্কানরা। তবে, এখনও নিয়মের বেড়াজালেই আটকে আছে সিরিজের ভাগ্য। নতুন শর্তে শ্রীলঙ্কায় দুই সপ্তাহের পরিবর্তে বাংলাদেশে এক সপ্তাহ আর শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে আরেক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে টাইগারদের।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি রাভিন ভিকরামারত্নে বলেন, কোভিড টাস্কফোর্সের সঙ্গে আমাদের মিটিং থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই এসেছে। সবাই সিরিজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে চায়।

একে তো প্রত্যাবর্তনের সিরিজ, তারওপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তাই লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজটা ডমিঙ্গো বাহিনীর মনোযোগের কেন্দ্রে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেদেশে গিয়ে অনুশীলনেও ঘাটতি রাখতে চায়না মুমিনুলরা। তবে, হাম্বানটোটায় নির্ধারিত হোটেল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরের স্টেডিয়ামে গিয়ে প্র্যাক্টিস যে বেশ ধকলের ব্যাপার। সেজন্য নাকি গল কিংবা ডাম্বুলায় হোটেল চাইছে বিসিবি।

সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। তবে, বোর্ডের নতুন প্রস্তাবেও নাকি অমত রয়েছে সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। পাশাপাশি বিসিবিরও।

আপনি আরও পড়তে পারেন