যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ড্রোন পাচ্ছে আমিরাত

ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির পরে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক মনুষ্যবিহীন ড্রোন পেতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ ব্যাপারে সম্প্রতি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আল-জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে ইসরাইল। গত সপ্তাহেই ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে তারা কোনোভাবেই আমিরাতকে বিশ্বাস করতে পারছে না।

গত ১৮ আগস্ট ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকি নেব না। একই সঙ্গে আমরা আমিরাতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমরা আমিরাতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। আমিরাতের বর্তমান সরকারের নিরাপত্তায় আমাদের সমর্থন থাকবে। তবে আমরা নিজেদের নিরাপত্তার ক্ষেত্র কোনোভাবেই ঝুঁকি নেব না। আমরা বিষয়গুলো বার বার যাচাই করতে চাই। আমরা নিরাপত্তার বিষয় যুক্ত থাকবে এমন একটি শান্তি চুক্তি করতে চাই। তার আগে কোনো রকম ঝুঁকি নেয়া যায় না।’

গত কয়েক দশক ধরে ইসরাইলের সঙ্গে সমাঝোতার ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার মধ্যে প্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র এফ-৩৫ বিক্রির মাধ্যমে নতুন করে এই অঞ্চলে অস্ত্র বিক্রি করতে চাইছে। যদিও ইসরাইলে একই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করেছে অনেক আগেই। তাই মধ্যপ্রাচ্যে একই যুদ্ধ বিমান বিক্রি করা হয়ে দেশটি নিরাপত্তা সংকট পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে ইসরাইলের সঙ্গে বহুল বিতর্কিত এক চুক্তির পর মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশটির ব্যাপারে নিজেদের নীতির বড় পরিবর্তন আনছে ওয়াশিংটন।

আমিরাতের অস্ত্রাগারে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় ড্রোন রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই চীনের তৈরি। চীনা ড্রোনের পাশাপাশি এখন মার্কিন ড্রোনগুলো ক্রয়ের চেষ্টা করে আসছে দেশটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন