ঢাবির আবাসিক হলের অর্ধেকই ঝুঁকিপূর্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি আবাসিক হলের অর্ধেকই ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ করোনার দীর্ঘ ছুটিতেও তা সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর বলছে, ভেঙে ফেলতে হবে প্রায় শতবর্ষী সব স্থাপনা। উপাচার্যের দাবি, ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে। তবে শিক্ষার্থীরা চান, চলমান সংকটের দ্রুত সমাধান।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শুনতে খুব ভালো লাগলেও, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত আবাসন আর শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। আবাসিক হলের অর্ধেকই তৈরি হয়েছে স্বাধীনতার আগে।

পুরনো ভবনগুলোর লোনা ধরা দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল, ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। কিন্তু করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার সুযোগেও এসব সংস্কারে বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সংকট সমাধানে এবার নতুন হল ও আবাসিক ভবন নির্মাণ, লাইব্রেরি সম্প্রসারণ, জলাধার নির্মাণ, সাইকেল লেন, ক্যাম্পাসের সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনসহ পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্লান হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, পুরাতন ভবনগুলোকে সংস্কার করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

যদিও, গণপূর্ত অধিদপ্তর মনে করে, বেশি পুরনো হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নে ভেঙে ফেলতে হবে বেশকিছু ভবন।

গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী বলেন, লাইফ টাইম থাকার পর এসব বিল্ডিংগুলো অতিক্রম হয়ে গেছে এসব ভেঙে ফেলব।

নতুন দুটি হল, কবি সুফিয়া কামাল ও বিজয় একাত্তর নির্মাণ করা হলেও এখনো দূর হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট। অবকাঠামো দুর্দশায় বেহাল অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিরও।

আপনি আরও পড়তে পারেন