জন্মের পর থেকে কখনো সুখের মুখ দেখেনি জহুরা

জন্মের পর থেকে কখনো সুখের মুখ দেখেনি জহুরা
মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী গ্রামের বাসিন্দা জহুরা (৬৯)।সুখ সেতো তার জীবনে মরিচিকা।
নিদ্রা যাপনে একটু সুখের নীড় নির্মাণ করে শান্তিতে কে না থাকতে চায়?। কিন্তু সেই স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না। যদি থাকে অভাব আর দারিদ্রতা তাহলে তো কথাই নেই। তার পক্ষে গৃহ নির্মাণ তো দূরের কথা গাছতলায়ও ঠাঁই হয় না। তেমনি একজন অসহায় বিধবা জহুরা।
৪৫ বছর পূর্বে পিতা মিয়া এবং মাতা করবুলা উভয়ই মারা যান। এতিম মেয়েটি ছোট বেলা থেকেই বেঁচে থাকার তাগিয়ে বেছে নেয় ভিক্ষাবৃত্তি।
পরে বিপত্নীক স্বামী আব্দুল বারিক এর সাথে অনেক দেরিতে বিয়ে হয় জহুরার। জন্ম নেয় এক মেয়ে ও ছেলে। কিছু দিন পূর্বে স্বামী আব্দুল বারিক ফকিরও মারা যান। সংসারেরর হাল ধরার মত কেউ না থাকায় বৃদ্ধ বয়সে জহুরা ভিক্ষা করে দিনানিপাত করছে।
পৈতিক সূত্রে পাওয়া এক শতক ভিটেতে একটি নড়বড়ে ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে বসবাস করছে সে। ভাঙ্গা ঘরে বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। যে কোনো সময় ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরটি পুকুরে ধসে যেতে পারে। আর্থিক দৈন্য দশায় ঘর তৈরি করার সামর্থ্য নেই। ভিক্ষুক জহুরার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ২৩ ৯৪ ৬১ ৬৪ ৮২।
জহুরা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, জন্মের পর থেকে কোনো দিন সুখের মুখ দেখেনি। সে আরো বলেন, আমি বর্তমান সরকারের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ কিংবা সমাজের দানশীল ব্যক্তির কাছে দুই বান্ডেল টিনের জন্য দাবি জানাচ্ছি। প্রতিবেশী মো: কামাল উদ্দিন জানান, মানবিক কারণে জহুরাকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে হোসেনপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক বলেন, ইতোমধ্যে জহুরার নড়বড়ে কুঁড়ে ঘরটি রক্ষার জন্য পুকুর পাড়ে একটি প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন