কারাগারে ইয়োগা ক্লাস করাতেন রিয়া

বলিউডের মাদাককাণ্ডে নাম জড়ানোয় ২৮ দিন কারাভোগের পর বুধবার (০৮ অক্টোবর) জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। একইদিন বিকেলে মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেল থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি।

একমাস পর রিয়ার জামিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। পাশাপাশি রিয়া এতদিন কারাগারে কীভাবে সময় কাটিয়েছে তা জানিয়েছেন তার আইনজীবী সতীশ মাণেশিন্ডে।

এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর আমি নিজে কারাগারে গিয়ে আমার মক্কেলের সঙ্গে দেখা করেছি। কারণ তাকে অনেক হয়রানি করা হয়েছে। কারাগারে তার অবস্থা কেমন আমি দেখতে চাইছিলাম। তবে তিনি খুবই ইতিবাচক মনোভাবে ছিলেন। কারাগারে নিজের খেয়াল রেখেছেন। যোগ ব্যবয়ামের ক্লাস নিতেন। নিজে যোগ ব্যয়াম করতেন ও অন্যদের শেখাতেন। কারাগারে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন। মহামারির কারণে বাড়ির খাবার পেতেন না। সাধারণ কয়েদির মতোই ছিলেন তিনি। একজন সৈনিকের মেয়ে হওয়ায় তিনি যুদ্ধের মতো করেই পরিস্থিতি সামলেছেন। ভবিষ্যতে কেউ তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ অথবা ক্ষতি করতে চাইলে তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত।’

তিনি আরো বলেন, ‘রিয়াকে হয়রানি করা হয়েছে কারণ সুশান্তের পরিবার তার পেছনে লেগেছিল। কিন্তু রিয়ার ওপর কেন তারা এত প্রতিশোধ পরায়ণ তা আমার বোধগম্য নয়। সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট (ইডি) তাকে হয়রানি করেছে কারণ তিনি একজন ভদ্রলোকের স্ত্রী ছিলেন অথবা তার সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন।’

মিডিয়ার উদ্দেশ্যে সতীশ মানেশিন্ডে বলেন, ‘মিডিয়া চ্যানেল টিআরপির জন্য তাকে হয়রানি করেছে। তাকে নিয়ে সব ফালতু ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে।’

গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। এরপর জামিন না দিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বর আবারো তার জামিন আবেদন খারিজ করে মুম্বাইয়ের একটি আদালত। এরপর বোম্বে উচ্চ আদালতে জামিন আবদেন করেন রিয়া। বুধবার (৭ অক্টোবর) তার জামিন মঞ্জুর করেন বোম্বে উচ্চ আদালত। জামিনের জন্য পাসপোর্ট ও ১ লাখ রুপি বন্ড দিতে হয়েছে রিয়াকে। এছাড়া মুম্বাইয়ের বাইরে যেতে হলে এই অভিনেত্রীকে অনুমতি নিতে হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন