ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে প্রেমিকের বিয়ে হওয়ার কথা শুনে প্রাণ দিয়েছে এক কলেজছাত্রী। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বিকালে মরদেহ নিয়ে আসার ব্যবস্থা চলছে বলে জানান ওই কলেজছাত্রীর পরিবার।
মৃত কলেজছাত্রী মরজিনা (২১) ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ও হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী রনহাট্টা গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে। আর প্রেমিক রাসেল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পিতাইচুরি গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রাসেল ও মরজিনার। আদালতে বিয়ে করেছে বলে মেয়ের পরিবারকে জানান রাসেল। মেয়ের বাবা-মা দুজনের সম্পর্ক মেনে নেন। কিন্তু হঠাৎ মরজিনা বৃহস্পতিবার সকালে রাসেলের বাড়িতে কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। এরপর পরিবার তার মৃত্যুর খবর পায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, কলেজছাত্রী মরজিনা বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে আসার পর রাসেলের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গেছে শুনে গ্যাসের টেবলেট খায়। পরে রাসেলের পরিবারের লোকজন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানকার ডাক্তার তাকে রংপুরে রেফার্ড করে। পরে সেখানে সে মারা গেছে বলে প্রেমিক রাসেলের পরিবার ও মেয়েটির পরিবার আমাকে জানিয়েছেন।
মেয়ের বাবা সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, আমার সহজ সরল মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করার পর রাসেল গোপনে বিয়ে করেছে। আমার মেয়ে সহ্য করতে না পেরে তার কাছে গেলে আমার মেয়েকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজছাত্রীর পরিবার এ নিয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
