মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রুখতে হবে—মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী

মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রুখতে হবে---মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী

জালিস মাহমুদ,পিরোজপুর প্রতিনিধি :

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি)বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করে। বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্য স্বাধীন বাংলাদেশের, মুক্তিযুদ্ধের মূর্ত প্রতিক।

কিন্তু মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর ও নির্মাণের বিরোধিতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরোধিতা করছে।কোনো ভাবেই এই মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক চক্রকে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা। তারা স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না। বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলে তাদের গাত্রগাহ হয়। তাই মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।


১৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) পিরোজপুরের বলেশ্বর খেয়াঘাটে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ এবং নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা ভবনের উদ্বোধন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।


মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার কাছেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত  বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলাদেশকে রক্ষার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। তিনি ছিলেন বিধায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে।

তিনি আছেন বিধায় মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট পাচ্ছেন, নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। তিনি আছেন বিধায় হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে কেবিন থাকে। সরকারি যানবাহনে মুক্তিযোদ্ধারা বিনা ভাড়ায় চলতে পারেন।

শেখ হাসিনার কারণেই পিরোজপুরে আজ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে।শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকে।ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও ভাগীরথী সহ দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের মাধ্যমে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে।এই অপশক্তির যাতে বিকাশ না ঘটতে পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলামের সভাপতিত্বে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা ভবনে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার, পিরোজপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সমীর কুমার দাস,সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ফজলুল হক সেন্টু,সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার  গৌতম নারায়ণ চৌধুরী, সাবেক থানা কমান্ডার আব্দুল মান্নান দরানী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম সিকদার মন্টু।

আপনি আরও পড়তে পারেন