পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে মেজর হাফিজের ৪ সুপারিশ

পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে মেজর হাফিজের ৪ সুপারিশ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। সব অভিযোগ প্রত্যাখান, পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি পাল্টা দাবি করেছেন তার কারণেই বিএনপি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপিতে ভাঙন ঠেকাতে তৎপর হয়েছিলেন। বর্তমানে ‘তোষামোদ’ ছেড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মুখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন দলের এ শীর্ষ নেতা।

হাফিজ বলেছেন, চিঠি পেয়ে অপমানিত বোধ করে পদত্যাগের কথাও ভাবছিলেন তিনি। তবে জবাব দেওয়ার পর শীর্ষ নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন। দলের ‘কঠিন সময়ে’ বেশকিছু সুপারিশও করেন মেজর হাফিজ।

প্রসঙ্গত, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হঠাৎ রাজধানীতে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি দল পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ কেউ মনে করেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে এ ধরনের বিক্ষোভ করার পেছনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ দায়ী। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। তাতে শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টা ও হাফিজ উদ্দিনকে ৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। নোটিশে সই করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় মানববন্ধনে অংশ না নেওয়া, বরিশালে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া, বিএনপির সর্বোচ্চ স্তরের নেতাদের নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ ১১টি অভিযোগ আনা হয় হাফিজের বিরুদ্ধে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্র বলছে, শওকত মাহমুদ গত বুধবার রাতেই জবাব দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের বাইরে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজে তিনি জ্ঞাতসারে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এরপরও তার অজান্তে কোনো কাজে জড়িত থাকলে তার জন্য তিনি দুঃখিত।

অন্যদিকে মেজর হাফিজ শনিবার তার অবস্থান জানালেন। তাতে বিএনপিকে কারণ দর্শানোর নোটিশে কী বলেছেন, তাও উল্লেখ করেছেন।

ভোলার লালমোহন-তমজুদ্দিন আসনে ছয় বারের সংসদ সদস্য হাফিজ ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। ফুটবলার হিসেবেও দেশে খ্যাতিমান ছিলেন তিনি।

হাফিজ বলেন, একজন যুদ্ধাহত, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বিজয়ের মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে অসৌজন্যমূলক ভাষায় অসত্য অভিযোগ সম্বলিত কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়ে হতবাক হয়েছি। আমার বিনীত অনুরোধ আমার বক্তব্য স্থায়ী কমিটির সদস্যের সামনে উপস্থাপন করা হোক। বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমাকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা হয়, আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত আছি। আমি দলীয় নেতৃত্বের প্রতি সর্বদাই শ্রদ্ধা পোষণ করি।

বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করতে একটি মহল সক্রিয় বলে অভিযোগ করেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এই নেতা বলেন, অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় সভাগুলোতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো। গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজনবোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাতে ‘অনেক ভুল’ পাওয়ার কথা বলেন ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ। ‘আদিষ্ট না হয়েও’ কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানোয় রুহুল কবির রিজভীর ওপর বেজায় চটেছেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমি বিগত ২৯ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট, আমার যোগদানের তারিখ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাবার তারিখ, আমার নামের বানানসহ অনেক ভুলই রিজভীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে দৃশ্যমান।

বিএনপিতে যোগদানের পূর্বেই আমি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমি বিএনপিতে যোগদান করেছিলাম। আমি ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। এখানে প্রটোকল ও সৌজন্যতার ব্যত্যয় ঘটেছে। ব্যক্তি রুহুল কবির রিজভী একজন ভদ্র, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতা, তা সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তার কাছ থেকে এ ধরনের চিঠি আশা করিনি।

হাফিজ বলেন, আমার সামরিক বাহিনীর বন্ধুরা যাদের সাথে চাকুরি-বাকরি করেছি, তারা সবাই এবং আমার ব্যক্তিগত বন্ধুরা যারা রাজনীতি করে না, তারাই সবাই বলে যে, আপনি আজকেই পদত্যাগ করেন। আমি চিন্তাও করেছিলাম। আমার প্রিয় নেতা-কর্মীরা সেই এখান থেকে আড়াইশ মাইল দূরে নদী পার হয়ে লঞ্চে, নৌকায়, মেঘনা নদীর পার থেকে এখানে এসে অনুরোধ করেছে- আপনি পদত্যাগ করবেন না, অবসর নেবেন না। তাদের অনুরোধে আজকে আমি পদত্যাগ করলাম না। আমি দেখতে চাই, এই আমার ব্যাখ্যা তাদের (নেতাদের) কাছে সন্তোষজনক হয় কি না। তারপরে আমি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

হাফিজের সঙ্গে ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার জাকির হোসেন, শাহাদাত হোসেন, বাবুল পাঞ্চায়েত, কবির হাওলাদার, ওমর ফারুক রিন্টু শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, আমাকে কখনও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক পদের অফার অসুস্থতার জন্য গ্রহণ করতে পারিনি। আমার বর্তমান বয়স ৭৬ বছর ২ মাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা স্থায়ী কমিটিতে আমার চাইতে বয়স্ক ব্যক্তির সংখ্যা ৪ এর অধিক হবে না বলেই আমার ধারণা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় যোগদানের পূর্বেই পুলিশ আমাকে ঢাকা বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করে, এ কারণেই বরিশালে যেতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল বর্তমান সরকার। বিএনপির কোনও সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে এ ধরণের মারাত্মক অভিযোগ দায়ের করার কথা আমার জানা নেই। এ মামলা ছাড়াও এক ডজন মামলায় আমি গত দশ বছর ধরে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বরাবর আমি বিএনপিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছি। জেল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার। আমি সেটিও করেছি। কিন্তু তারাই আমার বিরুদ্ধে বলেন আমি সংস্কারপন্থি, আমি ভাঙার পক্ষে। এর চাইতে দুঃখজনক-লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।

দলের কাউন্সিল দাবি করে হাফিজ বলেন, বিএনপির একজন নগন্য কর্মী হিসেবে কয়েকটি সুপারিশ পেশ করতে চাই। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিল আহবান করা হোক।

কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এবং সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি বাণিজ্য এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে আসায় তার তদন্তও দাবি করেন তিনি।

হাফিজ বলেন, সম্প্রতি আমার নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রদলের কমিটি কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় বসে গঠন করেছেন। আহ্বায়ককেই আমি চিনি না। ছাত্রলীগের কর্মীরাও এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আমার সুপারিশ বিবেচনা করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে কোনো উত্তর পাইনি।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের চিন্তা করতে বলি, দেশের জনপ্রিয় দল বিএনপি কেন আজকে ক্ষমতার বাইরে? কারা এর জন্য দায়ী? চিন্তা করেন, মুক ও বধির না হয়ে চিন্তা করেন। দলকে ভালোর জন্য কনট্রিবিউট করেন। দলকে সাজেশন দেন, কী করা উচিত। কেবলমাত্র তোষামোদ করে দায়িত্ব শেষ করবেন না।

তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা । আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলে গিয়েছেন, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমার কাছেও আমার দেশ সবচাইতে বড়।

হাফিজ বলেন, এদেশে গণতন্ত্র আসুক আমি চাই। গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য, মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্যে, জনগনের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার জন্যে, বাক স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্যে এবং এই অবৈধ সরকারকে বিদায় করার জন্যে যে কোনো সংগ্রামে আমি সব সময় প্রস্তুত থাকব। আমি একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী। যদি বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিশেষ করে ছাত্র যুবকেরা রাজপথে নামে, কালকে এদলের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।

তিনি বলেন, তারা রাজপথে নামে না কেন? অনেক চিন্তা করেছি। দলীয় নেতৃবৃন্দের উচিত এটা পর্যালোচনা করা যে, এত জনপ্রিয় দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শতকরা ৮০টা ভোট পায়, কিন্তু রাস্তায় কেন ১০০ লোক নামে না। এটা চিন্তা করা উচিৎ। অনেক কর্মীকে আমিও জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলে যে, আমি যদি নামি, গুলিটা খাই আমার পরিবারকে কে দেখবে? আমরা লাভটা কী? আমি জীবন দেব, অন্যরা সুবিধা হবে- এসব কারণে হয়ত নামে না। তবুও আমি বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে আহ্বান জানাব, আগামী দিনে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ডাক দিলে, যেই ডাক দেয়, আপনারা এসে এই সরকারকে উৎখাত করবেন।

৫ পৃষ্ঠার জবাবে হাফিজ লিখেছেন, বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে কোনো অসম্মানজনক, অসৌজন্যমূলক বক্তব্য রাখিনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সততা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক। আমি মুক্তিযুদ্ধে তার অধীনস্থ সেনা কর্মকর্তারূপে জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করেছি, সম্মুখ সমরে আহত হয়েছি। ১৪ ডিসেম্বর তারিখে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সারাদিনব্যাপী মরণপণ যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সিলেট শহর দখল করেছিলাম। ২০২০ সলের এদিনেই আমার দল আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। আমাকে নোটিস পাঠানোর আগে চিঠির বিষয়বস্তু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার কর্মীরা মর্মাহত হয়েছে।

হাফিজ মনে করেন এ ধরনের ঢালাও অভিযোগ এনে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।

অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন দাবি করে হাফিজ লিখেছেন, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তার শিখরে অবস্থানকারী সংগ্রামী নেত্রী। তাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। জিয়া পরিবারের কোনো সদস্যের প্রতি কখনোই কটূক্তি করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। রাজনীতি ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ হৃদয়ে লালন করব। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো। আমি দেশে বৃহৎ ও জনপ্রিয় দলের বর্ষীয়ান সদস্য। কোনও মূক ও বধির স্কুলের ছাত্র নই।

আপনি আরও পড়তে পারেন