সোলাইমানিকে হত্যার দুদিন আগে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে কী বলেছিলেন ট্রাম্প?

সোলাইমানিকে হত্যার দুদিন আগে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীকে কী বলেছিলেন ট্রাম্প?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার দুদিন আগে ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। লেবানন ভিত্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আল-মায়াদিন এ বিষয়ে আদিল আব্দুল মাহদির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে। তিনি ওই দিনের কথোপকথনের বিস্তারিত জানিয়েছেন।  

আব্দুল মাহদি আল-মায়াদিনকে জানান, ‘ট্রাম্প গত বছর ১ জানুয়ারি রাতে ইরাকের স্থানীয় সময় ৯টার দিকে আমাকে ফোন করেন এবং মার্কিন দূতাবাসে হামলা বন্ধ হয়েছে কিনা জানতে চান। এ সময় ট্রাম্প আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আক্রমণকারীরা কারা ছিল ইরাকি নাকি ইরানি? আমি বলেছিলাম, তারা ইরাকি ছিল। সিরিয়া-ইরাক যৌথ সীমান্তে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ওপর বিমান হামলার জন্য তারা ক্ষুব্ধ ছিল। এ কারণে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।’

আদিল আব্দুল মাহদি জানান, ‘এরপর ট্রাম্প জানান আমেরিকানরা ইরানিদের ভালো করে চেনে না, তবে ইরাকিরা তাদের ভালো করেই চেনে। আমি ট্রাম্পকে বলেছিলাম যে, ইরানিরা বলছে তারা যুদ্ধ চায় না যেমনিভাবে আমেরিকানরাও চায় না। আমি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তিনি যেন হয় ইরানিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন অথবা ২০০৩ সালের মতো একটা সমঝোতায় পৌঁছায়। এরপর ট্রাম্প আমাকে বলেছিলেন, আপনি ভালো আলোচক, আপনি যা পারেন তা করুন এবং আমরা প্রস্তুত আছি।’

আদিল আবদুল মাহদি আরও বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি সরকারি আমন্ত্রণে ইরাকে আলোচনার জন্য আসবেন। আসলে তাকে হত্যার সিদ্ধান্তটি দু-একদিনেই পরিকল্পনা ছিল না বরং দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল।’

গত বছরের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকারি সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরানের জেনারেল সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদী আল-মোহানদেস ও আরও আট জন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।

আপনি আরও পড়তে পারেন