কোথায় গেল ১৬২ কোটি টাকা? উত্তর নেই সাঈদ খোকনের কাছে

কোথায় গেল ১৬২ কোটি টাকা? উত্তর নেই সাঈদ খোকনের কাছে

প্রতি বর্গফুট বিজ্ঞাপনের নির্ধারিত কর ২০ হাজার টাকা কিন্তু আদায় দেখানো হয়েছে ৮০০ টাকা। এভাবে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম বিজ্ঞাপন কর আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১৬২ কোটি টাকা।

২০১৮-১৯ ও ১৯-২০ অর্থবছরে রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এ তথ্য দিয়েছে নিরীক্ষা অধিদফতর। বিষয়টি তাই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী। এ ব্যাপারে তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এ বিষয়ে তাকে কেউ কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করেননি।

সিটি করপোরেশনের আয়ের অন্যতম উৎস বিজ্ঞাপন। যার অধিকাংশই আসে বিলবোর্ড থেকে। এ ধরনের বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশি আয় ঢাকার দুই সিটির। কিন্তু এ বিজ্ঞাপনের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ কম নয়। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন এক অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে নিরীক্ষা অধিদফতরের রিপোর্টে।

অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাঈদ খোকন মেয়র থাকাকালে দুই অর্থবছরে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম বিজ্ঞাপন কর আদায় করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১৬২ কোটি টাকা। এলইডি সাইন বিজ্ঞাপন বাবদ যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কম কর আদায় করা হয়েছে তার মধ্যে সরকারি দফতরও রয়েছে।

এ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন বলছেন, এ বিষয়ে তার কাছে অডিটের কেউ জানতে চায়নি। আর এ বিষয়ে তার বক্তব্যের কিছু নেই।

সময় সংবাদকে ফোনে তিনি বলেন, আমার তো বক্তব্যের কিছু নেই। অডিটে যদি কোনো কিছু থাকে তো আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে আমি উত্তর দেব। কেউ আমার কাছে জানতে চায়নি।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন না সাবেক মেয়র। তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, তদন্ত করা উচিত, এর জন্য কারা দায়ী এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে তিনি (সাঈদ খোকন) দায় এড়াতে পারেন না। কারণ বিষয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তিনি তার দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে করা উচিত। যদি নয়ছয় হয়ে থাকে তাহলে আইন তার গতিতে চলবে।

যদিও এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন