বাইডেন প্রশাসনে বাংলাদেশি জাইন

বাইডেন প্রশাসনে বাংলাদেশি জাইন

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাইন সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনে বাইডেন-কমলা ট্রানজিশন টিমে অভ্যন্তরীণ ও অর্থনৈতিক ডেপুটি চিফ অব স্টাফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার পদে দায়িত্ব পেয়েছেন।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী ওরফে মামুন ও কামরুন আবেদীন হেলেনা সিদ্দিকী দম্পতির একমাত্র ছেলে ৩০ বছর বয়সী জাইন সিদ্দিকী। জাইন সিদ্দিকীর বাবা ও মা দুজনেই যুক্তরাষ্টের চিকিৎসক।

গত ১৩ জানুযারি জো বাইডেন প্রশাসন জাইনের নাম ঘোষণা করে। ঘোষণার পর দিন বাবা মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী মোবাইল ফোনে এই খবর বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের জানান। তার নিয়োগের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। গ্রামবাসীর প্রত্যাশা, জাইন গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়াবেন।

সরেজমিনে নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামে গেলে জাইনের স্বজন ও গ্রামবাসী জানান, ৩৩ বছর আগে মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী ও কামরুন আবেদীন হেলেনা সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পরে সেখানে নাগরিকত্ব পেয়ে স্থায়ী হন। সেখানেই জন্ম জাইনের। তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন জাইনের দাদি মাজেদা আক্তারও। জাইনের সেই দেশে বেড়ে ওঠা। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি।

জাইন সিদ্দিকীর বাবার চাচাত ভাই রতন সিদ্দিকী বলেন, জাইনের বাবার পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে কেউ নান্দাইল থাকেন না। তিনিই এখানে তাদের জমিজমা দেখাশোনা করেন। সর্বশেষ চার বছর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জাইন তার বাবাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন।

জাইনের চাচি বিমলা ও হেলেনা খাতুন জানান, শেষবার বাবার সঙ্গে জাইন যখন বাড়িতে আসেন, আধাপাকা টিনশেড ঘরে রাত যাপন করেছেন সাদাসিধাভাবে। খেয়েছেন নিজেদের হাতে রান্না করা বাংলাদেশি খাবার। সেই সঙ্গে বাড়ির পাশের নরসুন্দা নদীতে চড়েছেন নৌকায়।

জাইনের আরেক চাচি লুৎফুন্নাহার বেগম বলেন, জাইন বেড়াতে আসলে সবার সঙ্গে মেশে। বাড়ির পাশে নরসুন্দা নদীতে নৌকায় ঘুরে বেড়ায়। জাইন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে বড় পদ পাওয়ায় তাদের ভালো লাগছে। তিনি বলেন, জাইন সিদ্দিকী শুধু নান্দাইলের নন, ময়মনসিংহের গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব।

জাইন সিদ্দিকীর ফুফু নাহিদ পারভীন মনি বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব। তিনি বলেন, জাইন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে। সেখানেই বড় হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এত বড় পদে নিয়োগ পাওয়ায় তারা আনন্দিত।

আপনি আরও পড়তে পারেন