গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ১৪ কিশোরী উদ্ধার

গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ১৪ কিশোরী উদ্ধার

 আরিফুর রহমান মিসুক,গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী:

রাজবাড়ীরর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালী নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে ১৪ কিশোরীকে উদ্ধার করলো গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ। ২০ জানুয়ারি-২১ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সন্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।

তিনি জানান, ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার যৌনপল্লী থেকে এক খদ্দের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে পল্লীর নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে ৩ কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় উদ্ধারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে একই বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে আরও ১১ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, উদ্ধার কিশোরীরা বিভিন্ন সময় পাচার চক্রের মাধ্যমে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আসে। সেখানে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছিল। তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের আদালতের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারো নাম-পরিচয় শনাক্ত না হলে তাদের সেফ হোমে পাঠানো হবে।

উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা জানায়- ভাল বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের যৌনপল্লীতে বিক্রি করা হয়। তাদেরকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানো হতো। কিছু বললে অথবা রাজি না হলে বাড়িওয়ালিসহ তার সহযোগীরা অমানবিক নির্যাতন চালাত। খদ্দের থেকে যে টাকা পেত, সে টাকা বাড়িওয়ালি নিয়ে যেত। বকশিশের টাকা দিয়ে জামা-কাপড় কিনত তারা। বাড়িওয়ালিসহ অন্যরা ভালো খাবার খেত, কিন্ত আমাদের ঠিক মতো খাবার দেয়া হতো না। এখন আমরা বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাই।

এ সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন, ডিআইও-১ সাইদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর, সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, ডিআইও-২ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন