পৌরবাসীর উপস্থিতিতে গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ অনুষ্ঠান

পৌরবাসীর উপস্থিতিতে গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ অনুষ্ঠান

জিহাদ হক্কানীঃ শপথ গ্রহণের দুইদিন পর উৎসবমুখর পরিবেশে বুধবার গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ অনুষ্ঠান মেয়রের অফিস কক্ষে সম্পন্ন হয়। সাবেক মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন ফাইলে স্বাক্ষর করে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন এবং মো. মতলুবর রহমান তাঁর কাছ থেকে পৌর পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব এবিএম সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই গাইবান্ধা নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মো. মতলুবর রহমানকে ৯টি ওয়ার্ডের সকল কাউন্সিল এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। দায়িত্ব গ্রহণ এবং হস্তান্তরের পর সাবেক মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনকেও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মতলুবর রহমান বিদায়ী ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার প্রদান করেন। এসময় মেয়র হিসেবে বক্তব্য দেন মো. মতলুবর রহমান ও সাবেক মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনসহ নবনির্বাচিত পৌর পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা খানম মিতা, মমতা সরকার, সাবিনা ইয়াসমিন, শেখ শাহীন, মহিউদ্দিন আহমেদ রিজু, কামাল হোসেন, রকিবুল হাসান সুমন, আব্দুস সামাদ রোকন, শহিদ আহমেদ, আবু বকর সিদ্দিক স্বপন, আসাদুজ্জামান হাসু, হুমায়ুন কবির স্বপন প্রমুখ।
দায়িত্ব গ্রহণের সময় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে পৌরসভায় ভিড় জমায়।
মেয়র মো. মতলুবর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করেই তাঁর বক্তব্যে সাবেক মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর কর্মকালে সার্বিক সহযোগিতা ও উপদেশ কামনা করেন। যাতে তিনি গাইবান্ধা পৌরসভার মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থেকে পৌরসভাকে একটি কল্যাণকামী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করে পৌরবাসীদের সমস্যা সংকট নিরসন করতে সক্ষম হন।
সাবেক মেয়র মিলন তাকে দোয়া করে পৌর মেয়র হিসেবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে মতলুবরকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান এবং তাঁর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

গাইবান্ধা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ ॥ প্রতিবাদ করায় রোগীর স্বজনদের মারপিট

জিহাদ হক্কানীঃ গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ করায় স্বজনদের মারপিটের ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকালে খেলাধুলা শেষে হাসিবুর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ সময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুজন পাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসিবুরকে সাধারণ বেডে ভর্তি করান। এরপর হাসিবুরের অবস্থার উন্নতি না হলে রাত ৯টায় ডাক্তার হাসিবুরের শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার পরপরই হাসিবুরের নাক-মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদ জানালে রোগীর স্বজনের মারপিট করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও তাদের সঙ্গে থাকা বহিরগতরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। নিহত হাসিবুর গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের বেপারীপাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় আমানউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
এদিকে এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় ইউডি মামলা হলে এসআই জহুরুল ইসলাম বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা হাসপাতালে যান এবং মৃতের সুরতহাল রিপোট তৈরী করেন। জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হারুন অর রশিদ হামলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেন। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, শিশুর মৃত্যুর পর যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সে পরিস্থিতি রাতেই নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। তবে গাইবান্ধা সদর থানায় ইউডি মামলা হওয়ায় নিহতের সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়না তদন্তের প্রকৃত ঘটনা উদঘটন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন