“ডিআইইউ উপাচার্য ড.কে.এম মহসিন অনন্তের পথে যাত্রা করলেন”

"ডিআইইউ উপাচার্য ড.কে.এম মহসিন অনন্তের পথে যাত্রা করলেন"

জাফর আহমেদ শিমুল, সিনিয়র রিপোর্টার।


“ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) উপাচার্য ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কে এম মহসিন ইন্তেকাল করেছেন।


আজ ২২ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) সকালে আনুমানিক ৮ টায় রাজধানীর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডিআইইউয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শাহ-আলম চৌধুরী তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। 


জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন করোনাক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকার পরে আজ মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন অধ্যাপক ড.মোঃ কে.এম মহসিন।তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব ও পালন করেছিলেন।

অধ্যাপক ড.কে এম মোহসীন ১৯৩৮ সালের ২৭ মে রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৬৬ সালে তিনি লন্ডন থেকে পিএইচডি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সভাপতি, সলিমুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাঁর সাতটি গ্রন্থ ও ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে।তাঁর মৃত্যুতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি’র নেতৃবৃন্দ এ মহান ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন।


আজ এক বাণীতে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, মহসিন স্যার ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন একজন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,তিনি নিজে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং সমাজকে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।


ইংরেজি বিভাগের সাবেক সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রফেসর জনাব ড.সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ উপাচার্য অধ্যাপক জনাব কে.এম মহসিন একজন অসাধারণ শিক্ষক বুদ্ধিদীপ্ত, বিনয়ী, গবেষক ও লেখক ছিলেন। অতঃপর তিনি এ মহান ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করেন।’


অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন সাহেবের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বাদ যোহর উত্তরা ৭ নং সেক্টর জামে মসজিদ।বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এবং পরিবারের সকলের সম্মতিক্রমে বিকেলে উনাকে দাফন করা হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি চত্বরে।”

আপনি আরও পড়তে পারেন