পীরগঞ্জে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ তৈরীর অভিযোগ

পীরগঞ্জে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ তৈরীর অভিযোগ

বখতিয়ার রহমান,,পীরগঞ্জ (রংপুর) :
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ধর্মদাসপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ তৈরীর মাধ্যমে এক শিক্ষিকাকে চাকুরি দেয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে । মঙ্গলবার এ অভিযোগ দাখিল করেন উক্ত মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষিকা ফেরদৌসী আক্তার ।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার তাঁতারপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তারকে উক্ত মাদ্রাসার সুপার জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু ফেরদৌসী আক্তার এর এনটিআরসি সনদ না থাকায় ফেরদৌসী আক্তার তাতে অসম্মতি জানায় । তার পরেও মাদ্রাসাটির সুপার নজরুল ইসলাম তার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহন করেন ।

উক্ত টাকায় মাদ্রাসার সুপার এনটিআরসি সনদ ও বেতন ভাতা সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্য করবেন বলে ফেরদৌসী আক্তারকে জানানো হয় । পরবর্তিতে টাকা প্রাপ্তির পর বিগত ২৩/১০/১১ ইং ফেরদৌসী আক্তারকে মাদ্রাসাটিতে জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় । নিয়োগ প্রপ্তির পর থেকে ফেরদৌসী আক্তার মাদ্রাসাটিতে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । অথচ অদ্যবদি তার বেতন ভাতাদির ব্যবস্থা হয়নি । উপরোন্ত বিল ভাতাদী হবে না মর্মে ফেরদৌসীকে জানানো হয় ।


এদিকে বিষয়টি জানার পর ফেরদৌসী আক্তার উক্ত সুপারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান । ফলে মানষিক ভাবে বিপর্যস্থ ফেরদৌসী আক্তার এ অভিযোগ দাখিল করেন ।
এ ব্যাপারে উক্ত মাদ্রাসার সুপার নজরুল ইসলাম সহকারি শিক্ষিকা পদে ফেরদৌসীকে চাকুরিতে নিয়োগ দেয়ার সত্যতা স্বীকার কওে বলেন, তার কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়।

মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই শিক্ষিকাকে মাদ্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় বলেন, অভিযোগেটি এখনও হাতে পাইনি। তবে পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

আপনি আরও পড়তে পারেন