দোহারে যত্রতত্র ময়লার স্তূপ : হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

দোহারে যত্রতত্র ময়লার স্তূপ : হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

মাহবুবুর রহমান টিপু, দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি :

ঢাকার দোহার উপজেলার কেন্দ্রস্থল দোহার পৌরসভার আওতাধীন জয়পাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে পরিবেশ দূষণকারী এবং বিভিন্ন রোগের জীবাণু সৃষ্টিকারী ময়লা আবর্জনার স্তূপ। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিন না থাকায় দোহার পৌরসভার আওতাধীন বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
শনিবার (৫ জুন) বেলা ১১ টায় সরেজমিনে দেখা যায়, দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও উপজেলা পরিষদের মাঝামাঝি রতন স্বাধীনতা ভাস্কর্য চত্বরের সামনে দোহার প্রেসক্লাবে যাওয়ার সড়কের পাশেই তৈরি হয়েছে এ ময়লা আবর্জনার স্তূপ। এছাড়াও জয়পাড়া বাজার সংলগ্ন বড় বিজ্রের নিচেও দির্ঘদীন যাবৎ সৃষ্টি হয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া এলাকা পরিবেশ দূষণসহ মানুষের বিভিন্ন রোগের জীবাণু সৃষ্টির কারখানায় পরিণত হয়েছে।
এসব জায়গা ঘুরে দেখা যায়, ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিন না থাকায় দোহার পৌরসভার আওতাধীন জয়পাড়া বাজার এলাকায় বড় ব্রিজের নিচে এবং উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বর্জ্য, বাজারের ময়লা আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়ে আছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
এসব স্থানের ময়লা আবর্জনা পচে সৃষ্টি হচ্ছে দূর্গন্ধ। বাতাসের সাথে মিশে দূষিত হচ্ছে বায়ু। সেইসাথে জয়পাড়া ব্রিজের নিচ দিয়ে বহমান পদ্মা নদীর শাখা খালের পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে মানুষের শরীরে সৃষ্টি হচ্ছে বায়ু দূষিত ও ফুসফুসজনিত নানা রোগ। তাই পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট পথচারী, ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও পৌরবাসীর দাবি ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান তৈরি করে এই ময়লা আবর্জনার স্তূপগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়াসহ এর সঠিক সমাধান করা হোক।
দেখা যায়, পৌরসভার আওতাধীন বিভিন্ন স্থানে এ রকম ময়লা-আবর্জনার স্ত‚প রয়েছে। এসব স্থানের ময়লা আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে নাকে কাপড় চেপে পথচারীরা ওই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করছেন। দুর্গন্ধে পৌরবাসীর পথচলা দায় হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান ও ডাস্টবিন না থাকায় লোকজন বাধ্য হয়ে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছেন। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না।
এ বিষয়ে দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, ক্লিনিকের বর্জ্যরে ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো দায়িত্ব নেই, সেটা হেল্থ ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। এছাড়া পৌরসভা আওতাধীন সাধারণ বর্জ্য আমরা মেইনটেন্ট করি। এখনো আমরা সরকারিভাবে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জমি পাই নি। তবে গতকাল ভূমি অফিস থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজিরচর এলাকায় একটি জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন