মধুমাসের অন্যতম ফল লিচু। রসালো টসটসে এই ফল ছাড়া বাঙালির গ্রীষ্মকাল পানসে হয়ে যায়। মিষ্টি স্বাদের লিচু পছন্দের তালিকায় থাকলেও ওজন বাড়ার ভয়ে খেতে চান অনেকেই। তবে পুষ্টিবিদরা অভয় দিচ্ছেন যে লিচু খেলে ওজন তো বাড়েই না বরং রোগা হতে চাইলে ডায়েটে রাখতে পারেন লিচু। এছাড়া লিচুতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
পুষ্টিবিদদের মতে, লিচুতে পানির পরিমাণ প্রচুর৷অন্যদিকে ফ্যাট ও ক্যালরির মাত্রা নামমাত্র৷ফলে ওজন কমানোর লক্ষ্যে যারা ডায়েট করছেন, তাদের জন্য লিচু আদর্শ৷ তাই ওজন কমাতে চাইলে গরমে দৈনিক খাবারে ফলের তালিকায় লিচু রাখতে ভুলবেন না ৷
শুধু সুস্বাদুই নয়, লিচুর সঙ্গে সখ্য আমাদের অন্যান্য শারীরিক গুণাগুণেরও৷সুস্বাদু এই ফলকে বলা যায় খাদ্যগুণের আধার৷ভিটামিন সি ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিডে ভরপুর এই ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ৷
ফাইবারসমৃদ্ধ লিচু কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে উপকারী৷সাহায্য করে পরিপাক প্রক্রিয়ায় ৷লিচু পূর্ণমাত্রায় অ্যান্টিভাইরাল৷এতে থাকা ‘লিচিট্যানিন এ টু’ উপাদান মানবদেহে ভাইরাসের বংশবিস্তার রোধে সাহায্য করে ৷
প্রচুর পরিমাণে তামা থাকায় লিচু রক্ত সংবহনে কার্যকরী৷লোহার মতো তামাও মানুষের দেহে লোহিত রক্তকণা তৈরিতে সাহায্য করে ৷ফ্লুইডের ভরসাম্য ঠিক রেখে লিচু মানবদেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে৷পটাশিয়াম বেশি এবং সোডিয়াম কম থাকায় লিচু রক্তচাপ নিয়্ন্ত্রণে রাখার জন্য উপযোগী৷
লিচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ ত্বককে রাখে সতেজ ও টানটান৷ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে লিচু৷
ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপারের মতো খনিজপদার্থ থাকায় লিচু পেশি ও হাড়কে সুগঠিত করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয়৷
তবে এত গুণ থাকলেও একটা বিষয় মনে রাখতে হবে৷লিচুতে চিনির পরিমাণ বেশি৷তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল খুব বেশি নিরাপদ নয়৷চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত পরিমাণে লিচু খেতে পারেন৷