ফেনী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। রোববার দুপুরে ফেনী থানা পুলিশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করেছেন।
শনিবার রাতে বিবি রোখসানা আক্তার লিপি নামে এক ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফেনী মডেল থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ফেনীর মধ্যম চাড়িপুর এলাকার এক নারী শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের গাজী হোটেল সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। তিনি শহরের একটি শপিংমলে কর্মরত ছিলেন।
ওই নারীর সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালের দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলে আসছে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় ছাত্রদলের এই নেতা। পরবর্তীতে বিয়ে করে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে দুলালের ওপর চাপ দিলে বাসায় হুজুর এনে দুলাল বিয়ে করলেও কাবিননামা পরে করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
৭ জুন দুলাল কাবিননামা না করে দেওয়ার ঘোষণা দিলে ১১ জুন ওই নারী এক সালিশি বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে কাবিননামা রেজিস্ট্রি করে দিয়ে মেয়েটিকে সামাজিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করার অভিযোগসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন মেয়েটি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, দুলাল ছাড়াও তার পিতা রুহুল আমিন, মা মালেকা বেগম, ভাই মামুন ও মিজানকে আসামি করা হয়েছে।