মোঃ মাসুদ আলম, রাজশাহী জেলা থেকে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের আজ ৯ম দিন চলছে ।সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধিনিষেধ শেষ হবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টায়। গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্হান ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় জনসমাগম খুবই কম। গাড়ি চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা কম। তবে প্রশাসন আগের মতোই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্হানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করে এবং তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
শনিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শহিদ ফিরোজ চত্বর, রেলগেট,বাইপাস মোড়,সুলতানগন্জ বাজার, বালিয়াঘাট্টা মোড়,রাজাবাড়ি চেকপোস্ট, রাজাবাড়ি চাপাল, বিশ্বনাথপুর, কাঁকন হাট, সাধুর মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা যায়- রাস্তাগুলোতে যান চলাচল খুবই কম। বৃষ্টির কারনে সড়কগুলোতে খুবই কম সংখ্যক পথচারী দেখা গেছে। এছাড়া রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কগুলোর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।এছাড়াও সড়কগুলোতে মাঝে মধ্যে লক্ষ করা যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল।
প্রতিটি চেকপোস্টে কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণকে দেখা যায় যে তারা জনসাধারনকে গাড়ি থামিয়ে জিঙ্গসাবাদ করে।
পুলিশ সদস্যদের তথ্যমতে, এখনও মিথ্যে অজুহাতে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকেই হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে চেকপোস্টে দাবি করছেন তবে, উপযুক্ত তথ্য -প্রমাণ না দিতে পারলে পুলিশ বাহিনী তাদের গাড়ী থেকে নামিয়ে দিচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।
গোদাগাড়ী উপজেলার শহিদ ফিরোজ চত্বরে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক TIS জনাব মতিউর রহমান বলেন তুলনামূলক ভাবে আজ রাস্তায় যানবাহন কম।যেসব গাড়ীর কাগজ নেই তাদের জরিমানা ও মামলা দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ার জন্য রাস্তাঘাট সকাল থেকেই ফাঁকা। রাস্তায় যেসব গাড়ি দেখা যাচ্ছে তার বেশিরভাগই পণ্যবাহি ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স। অপ্রয়োজনে কেউ বের হলে আমরা তাদের আইনের আওতায় নিচ্ছি। অন্য দিকে কাঁকন হাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই জনাব, মোঃসিরাজের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমারা জনসাধারণকে ঘরে অবস্থান ও মাস্ক পরার ব্যাপারে আহ্বান জানাচ্ছি।
দৈনিক আগামীর সময়