বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক ঘোষণা

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক ঘোষণা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসে ৫ জন ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক পাচ্ছেন।

রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) জাতীয় শিশু একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রয়েছে অপরিসীম অবদান। বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর। বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে সরকার এই পদক প্রবর্তন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই পদক ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে। পদকপ্রাপ্ত একেকজন নারী পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননা সনদ। প্রতিবছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মনোনীত নারীদের এই পদক দেওয়া হবে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে দুই হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং চার হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ইন্দিরা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে, বাংলাদেশ বেতার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি একযুগে উদযাপন করা হবে। এছাড়া বিদেশি মিশন ও দূতাবাসসমূহেও দিবসটি উদযাপন করা হবে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদান করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

পদক পাচ্ছেন যারা 

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে জয়া পতি (মরণোত্তর), কৃষি ও পল্লিউন্নয়ন ক্ষেত্রে কৃষি উদ্যোক্তা মোছা. নুরুন্নাহার বেগম, রাজনীতিতে অবধান রাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং গবেষণা ক্ষেত্রে নেত্রকোনা জেলার লেকখ ও গবেষক নাদিরা জাহান (সুরমা জাহান) এ বছর ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক পাচ্ছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব এবং মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস।

আপনি আরও পড়তে পারেন