পরীমণির অন্ধকার জগতের সহযোগী সেই নারী ও জিমিকে খুঁজছে ডিবি

পরীমণির অন্ধকার জগতের সহযোগী সেই নারী ও জিমিকে খুঁজছে ডিবি

চিত্রনায়িকা পরীমণির অন্ধকার জগতের দুই সহযোগীকে খুঁজছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।

তিনি বলেন, পরীমণির মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। পাশাপাশি আমরা তাকে আরও কয়েকটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, পরীমণি অন্ধকার জগতে পা দিয়েছেন। এ পথে আসতে এক নারী তাকে সহযোগিতা করেছেন। সেই নারীকে আমরা খুঁজছি। তার বিষয়ে নজরদারিও করছি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণির সঙ্গে জিমি নামের এক তরুণ গিয়েছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব।

সেই নারীর নাম জানতে চাইলে এ ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ মুহূর্তে নামটি বলতে চাচ্ছি না। পরীমণির বাসায় মদ পাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

পরীমণি ও রাজের ঘরোয়া পার্টিতে কারা আসতেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম রাজ তথাকথিত কয়েকজন মডেল দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নজনকে মনোরঞ্জন দিতেন। তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি মূলত একজন মূর্খ, পড়ালেখা জানেন না। ঢাকায় এসে তিনি প্রথমে একটি ছোট চাকরি করতেন। পরে যোগাযোগ বাড়িয়ে সমাজের বিত্তশালীদের কাছে তথাকথিত মডেল সাপ্লাই দিয়ে বর্তমান অবস্থানে এসেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেক নাম পেয়েছি। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, সমাজে যারা অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিত্তশালী হয়েছেন, তাদের সন্তানরা এসব অবৈধ পার্টিতে যাচ্ছেন এবং নীতি বহির্ভূত কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। সমাজের তথাকথিত বিত্তশালী, যারা মাদক কারবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ওই নারী একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কর্মরত। বোট ক্লাবের ঘটনার সময় তিনি পরীমণির সঙ্গে ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন