ফেসবুকে প্রেম করেই ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন নারী

ফেসবুকে প্রেম করেই ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন নারী

ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতারণার অভিযোগে বগুড়া থেকে তহমিনা খাতুন (৩০) ও আজাদুল ইসলাম (৪৬) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এমন তথ্য জানায় মেহেরপুর ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম।

ডিবি’র ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রবাসী সদর উপজেলার বেতলাপাড়া গ্রামের সাইদের সঙ্গে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী তহমিনা খাতুন নিজের নাম কনিকা ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ম্যাসেঞ্জারে নিজের ছবি না দিয়ে অন্য এক নারীর ছবি দিয়ে তাকে আকৃষ্ট করে।

এরপর প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা বিকাশ নম্বরে টাকা নেয়া শুরু করে। সর্বশেষ ৫ মাসে সাইদকে ব্লাকমেইল করে ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তহমিনা। এভাবে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৯টি সিমে সাইদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সে।

সর্বশেষ সাইদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তহমিনাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে কক্সবজারে একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে বলে সাইদের পরিবারকে জানানো হয়। সেই মামলা নিষ্পত্তি করতে ৭ লাখ টাকা লাগবে বলে পরিবারের কাছে চাপ দেয়া হয়। সব ঘটনায় তহমিনা মুঠোফোনে নিজের কন্ঠ পরিবর্তন করে পুরুষ কন্ঠে এই প্রতারণা শুরু করে। এতে সন্দেহ হয় পরিবারে। বিষয়টি মেহেরপুর সাইবার ক্রাইম সেলকে জানান সাইদের দুলাভাই সোহেল রানা।

পরে সে বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থেকে তহমিনা ও আজাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও সাইবার ক্রাইম সেলের একটি দল।

গ্রেপ্তারের পর তারা পুলিশের কাছে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এ ঘটনায় জড়িত তহমিনার বন্ধু একই উপজেলার চাচাইতারা গ্রামের মেসার্স এসআর এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রবিউল ইসলামের নাম উঠে আসে। সে ও তহমিনা অনলাইন একটি বেটিং সাইডের সাথেও জড়িত বলেও তথ্য পায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এদিকে সদর উপজেলা বাড়িবাকা গ্রামের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেনের দায়ের করা মমালায় নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। আটক সাইফুলের বিরুদ্ধে বিপ্লব হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় এক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন