বরিশাল থেকে এবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ

বরিশাল থেকে এবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের ঘটনার বিচার চেয়ে বাসের পর লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা।

শ্রমিকরা জানান, লঞ্চ চালাতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। সর্বশেষ সকাল সাড়ে ৮টায় ভোলা রুটে একটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের ভেতর ঘটে যাওয়া অনাকাঙিক্ষত ঘটনার জের ধরে লঞ্চ মালিকরা সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে লঞ্চ চলাচল শুরু করার ব্যাপারে মালিকদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ আলোচনা করছে।

একই ঘটনায় ভোর থেকেই বরিশাল নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে স্থানীয় ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারী নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার শুভেচ্ছা ব্যানার অপসারণের কাজ শুরু করে। এ সময় ইউএনওর কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চান। এরপর তারা সকালে এসে কাজ করার জন্য বলেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী সেখানে যান। পরে সেখানে আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় নেতাকর্মীরা ইউএনওর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়েন আনসার সদস্যরা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুনিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসে। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তাদের সকালে আসতে বলা হয়। এ কারণে তারা আমাকে গালিগালাজ করে। আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।

মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ছররা গুলি করা হয়েছিল। আমার গায়ে লেগেছিল, ব্যথা পেয়েছি। আমার গায়ে জ্যাকেট ছিল। সেসময় সঙ্গের লোকেরা আমাকে সুরক্ষা দিয়েছেন। তাদের গুলি লেগেছে। অনেকেই আহত হয়ে থাকতে পারেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন