বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান ও গণআন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বৈরাচারী শাসক হাসিনা সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই উদ্যোগ নিই।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের শাসন আমলের সেই ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের কথা ভুলে যাইনি। সেই দিন লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। রংপুরের সেই বাসন্তি লজ্জা নিবারণের জন্য এক টুকরা কাপড় পায়নি; এই হলো আওয়ামী লীগ।
সত্য চাপা দিতে আওয়ামী লীগ মিথ্যা বলছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যাচার করে সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা, লাভ হবে না। এ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তারা কলঙ্কিত করেছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের জন্য তাদের কি অবদান, সেটা একবারও কি জিজ্ঞেস করে তারা? তাদের অবদান হচ্ছে ভারতে বসে থেকে দেশে এসে নেতা সাজা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা বলে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেননি তারাই যুদ্ধাপরাধী, যারা বলে জিয়াউর রহমান গুলি করেননি তারাই যুদ্ধাপরাধী; তারাই স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। যদি স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে হয় না।