জাতিসংঘে কালজয়ী ভাষণ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন

জাতিসংঘে কালজয়ী ভাষণ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন

জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শকারী ৬-দফা প্রস্তাবনা সম্বলিত কালজয়ী ভাষণ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটি।

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সভায় এ অভিনন্দন জানানো হয়।

জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) কর্তৃক ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ লাভ এবং বিশ্বসভায় ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে আখ্যায়িত হওয়ায় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রমসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।

এ সময় মো. রশিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন। স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাভিত্তিক উপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের সংস্কৃতিকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনই হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির রক্ষাকবচ। বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আমরা উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রেখে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার মধ্য দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন-সাধ বাস্তবায়ন করতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন