বাল্যবিবাহ ভেঙে স্কুলছাত্রীর দায়িত্ব নিলেন ওসি

বাল্যবিবাহ ভেঙে স্কুলছাত্রীর দায়িত্ব নিলেন ওসি

বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। অপেক্ষা ছিল বরযাত্রীর। বিয়ে সম্পন্ন হলেই কনেকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হবে। কিন্তু বর আসার আগেই বাড়িতে হাজির চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি। ব্যস, সব আয়োজন পণ্ড। তাতেই বাল্যবিবাহের কুফল থেকে রক্ষা পায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৪)।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসিন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ওই শিক্ষার্থীর দুই বছরের বকেয়া স্কুল ফি পরিশোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, গাড়াবাড়ি গ্রামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তার পরিবার বিয়ের আয়োজন করে। কিন্তু এটি বাল্যবিবাহ, এমন সংবাদ জানতে পেরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহাসিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে জানান মেয়ের বাবা। পরে ওসি বিষয়টি শুনে মেয়ের বাবাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝান এবং সেই সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ওসি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমরা মেয়ের বাবাকে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়ালেখা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করেন। তখন আমি মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিই। তাৎক্ষণিক মেয়ের দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করা হয় এবং শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন বলেন, শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে এই শিক্ষার্থীর ভিন্ন জীবন শুরু করতে চেয়েছিল পরিবার। আর আমরা স্কুলে পাঠিয়ে তার নতুন জীবন শুরু করলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন