সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করার পর রাজধানী খার্তুমে একটি বিক্ষোভে তিনজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একটি কমিটি বলছে, গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে ওই তিনজন নিহত হন।
প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদককে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য শনিবার হাজার হাজার মানুষ রাজধানী খার্তুমসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য গুলি চালানোর বিষয়টি নাকচ করেছেন। এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন।
অবশ্য এই অভ্যুত্থানকে নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শনিবার খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের সুদানের পতাকা হাতে নিয়ে ‘আমরা সামরিক শাসন চাই না’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
খার্তুমের রেসিসটেন্স কমিটির একজন সদস্য শাহিন আল শাহিফ বিবিসিকে বলেছেন, ‘এখানকার মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়। বিক্ষোভকারীরা গুলির মুখেও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখবে। বর্তমান অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে জেনারেল বুরহান তার সমর্থকদের হারিয়েছেন। এটি সত্যিই শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির করা অভ্যুত্থান। তাকে কেউ সমর্থন করছে না।’
সুদানের একটি স্বাধীন সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ডকটর’স কমিটি বলছে, অমডারমানে গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ খবর অস্বীকার করে বলেছেন, কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
সুদানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে বেসামরিক নেতাদের সাথে সেনাবাহিনীর বিরোধ চলছে। বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ২০১৯ সালে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে সুদানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগুনোর কথা ছিল।
কিন্তু আগেও বেশ কয়েকবার অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর সেই লক্ষ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। সবশেষ অভ্যুত্থানের চেষ্টাটি হয়েছিল এক মাসের কিছু আগে। ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে গঠিত পরিষদের প্রধানের পদে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান।
তিনি বলেছেন, এরপরেও সুদান বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেনি। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।