দুই মৌসুম হচ্ছে সুপার কোপা দে এস্পানার সময়, ভেন্যু, ফরম্যাট সব বদলে গেছে। নাহয় আজ রাতে রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার মুখোমুখিই হওয়ার কথা না। গেল মৌসুমে লিগটা উঠেছিল রিয়ালের পড়শী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঘরে, আর কোপা দেল রে জিতেছিল বার্সেলোনা। আগের ফরম্যাট হলে একেবারে ফাইনালে মুখোমুখি হতো এই দুই দলই। তবে পরিবর্তিত সূচিই আজ আরও একটা বাড়তি এল ক্ল্যাসিকোর সুযোগ করে দিয়েছে। আজ বুধবার রাতে মহারণে মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ।
দুই দলের সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ অবশ্য বিপরীতমুখী। রিয়াল মাদ্রিদ আছে লা লিগার শীর্ষে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলয়। আর বার্সেলোনা নিজেদের স্বর্ণসময় পেছনে ফেলে রীতিমতো নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। লিগে আছে পাঁচ নম্বর অবস্থানে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়ে এখন খেলছে ইউরোপায়। এমন অবস্থায় দুই দলের তুলনা চলে কোথায়!
দলের এমন অবস্থায় প্রাপ্য সম্মানটাও পাচ্ছে না প্রতিপক্ষ থেকে। যেমন কোপা দেল রেতে বার্সার প্রথম খেলার কথাই ধরুন। বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল লিনারেস দেপোর্তিভো। ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দলটিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে রীতিমতো উল্লাস করেই নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিল লিনারেস। মাঠের খেলাতেও একটা বড় সময় এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা থেকে!
এরপর রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের কথাকেও আনতে পারেন ধর্তব্যে। জার্মান মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘বার্সেলোনার খেলা আমি দেখি না। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ পড়ে আছে আমার জন্য।’ মোদ্দাকথা, মাঠের বাইরে প্রতিপক্ষ থেকে প্রাপ্য সম্মান, সমীহটা যে হারিয়েছে বার্সা তা পরিষ্কার।
এমনই এক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি দলটা। আজকের একটা ম্যাচ জিতলে হয়তো পরিস্থিতিটা পুরোপুরি বদলে যাবে না দলটির, তবে হারিয়ে ফেলা সম্মানটা পুনরুদ্ধারের পথে বড় একটা অনুপ্রেরণাই পেয়ে যাবে কোচ জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।
রিয়াল মাদ্রিদের সামনে হাতছানিটা আবার ভিন্ন কিছুর। শেষ চার এল ক্ল্যাসিকোয় জয়, যার ফলে ৫৬ বছরের পুরনো এক বিস্বাদ বার্সাকে উপহার দিয়েছিল দলটি। আজ জিতলে যে এল ক্ল্যাসিকোয় আধিপত্য বিস্তার বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তির দলের, তা বলাই বাহুল্য।