মাতাল অবস্থায় চালাচ্ছে মেলার নাগরদোলা

মাতাল অবস্থায় চালাচ্ছে মেলার নাগরদোলা

রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি :

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইলে অনুষ্ঠিত আনন্দ মেলায় মাতাল অবস্থায় নাগরদোলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেলায় প্রতিদিন চলন্ত নাগরদোলা থেকে পড়ে ছোট-বড় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিশু-কিশোররা। প্রতি বছরের মতো এবারও বসেছে গোলাকান্দাইল আনন্দ মেলা। সরকারের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে জমে উঠেছে এই মেলা। মেলায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আর অন্য দিকে মেলারমতো বিনোদনমুলক নানা অনুষ্ঠান নিয়ে মেতে উঠেছে রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল হাটের এই আনন্দ মেলা। যে মেলায় হাজারো শিশু কিশোর আবালবনিতার উপচে পড়া ভিড় দেখলে মনে হবে না যে দেশে করোনা বলে কোনকিছু আছে। জনমতে প্রশ্ন উঠেছে, মেলার অনুমতি না হয় দেয় স্থানীয় প্রশাসন, কিন্তু মেলার নিরাপত্তায় কি আদৌও নজর রাখা হয়। মঙ্গলবার(২৫জানুয়ারি) বিকাল চার টার দিকে মেলায় এসে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম। মেলায় আগত কিছু কিছু মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না দুরত্ব। এ মেলায় বিনোদনের জন্য বসিয়েছে নাগর দোলা, রেলগাড়ী, নৌকা। কিন্তু বিনোদন উপভোগ করতে এসে দূর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। আড়াইহাজার থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মেলা দেখতে আসেন শাহানাজ তিনি বলেন, আমার ছেলে সোহান চলন্ত নাগরদোলো থেকে পড়ে গেলে কেউ ছেলেটাকে ধরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি। বরং ডালিম নামের একজন হুমকি দিয়ে বলছেন আপনি কি করার করেন। মেলার নৌকা,নাগরদোলা ও রেলগাড়ির পরিচালক যাত্রাবাড়ি এলাকার আবুল হোসেন বলেন আমরা টাকা দিয়ে বসিয়েছি। করোনা-মরোনা আমরা বুঝি না। নাগরদোলা চললে দুর্ঘটনা হতে পারে এইটা স¦াভাবিক। তবে আপনার যা বলার আপনি মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে বলেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেলার কোনো কর্তৃপক্ষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলার কোনো অনুমতি নেই। মেলার অনুমতি দেয়ার আমরা কেউ না। প্রতিদিনই আমরা মেলা তুলে দিচ্ছি। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, মেলা চলছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে মেলার কোনো অনুমতি নেই। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, কোভিট পরিস্থিতিতে সরকারি বেসরকারি কোনো মেলা চলবে না। এই মেলার কোনো অনুমতি নেই। কেউ যদি চালায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেলা আমরা আজই বন্ধ করে দিব।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন