মাধবপুরে সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখছেন কৃষকরা

মাধবপুরে সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনাদেখছেন কৃষকরা
আনিসুর রহমান , মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঋতুচক্রে এখন শীতকাল, তাই হবিগঞ্জের মাধবপুরে ফসলের  মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। ইতোমধ্যে দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে কৃষক। বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। দৃষ্টিজুড়ে হলুদের অপার সৌন্দর্যের সমারোহ। ভোরে সরিষা ক্ষেতের ওপর ভেসে থাকা কুয়াশা সকালবেলার প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সরিষার ভালো ফলন নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সরিষার সবুজ গাছের ফুল গুলো শীতের সোনাঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দযের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ মেখে। মৌমাছির গুন গুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এক মুহূর্ত।ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠ জুড়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা খেত ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সরিষা চাষের গত বছর ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯৫ হেক্টর। এবছর ২০২২ সাল  নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১০ হেক্টর জমি। উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে ৪৯০ হেক্টর জমি।‌ সরিষাবাড়ী চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি চাষ হয়েছে।
উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের মীরনগর এলাকার বলেন কৃষক আব্দুল হক, আমি এবছর ১১২ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছি গতবছর থেকে এবার সরিষা বুনছি কম। সরিষা আবাদে খরচ অনেক কম কিন্তু দাম যদি একটু হয় তাহলে আমাদের একটু ভাল হবে। সরিষা ভাল ফলন হলে প্রতি মণ ৩ হাজার ৫শত টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করার আশা করছি।
একই এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সরিষা খেত খুবই ভালো হয়েছে। দুইদিন হালাক বৃষ্টি হলো যদি বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে ক্ষেতের ক্ষতি হবে। কারণ বৃষ্টি হলে ফুল নষ্ট হয়ে যায়। যদি বৃষ্টি বাদল না হয়, তাহলে একটু লাভের মুখ দেখতে পারবো।
সরিষা খেতে ঘুরতে আসা শিয়ন চৌধুরী নামে একজন বলেন, সরিষা খেতে ঘুরতে এসেছি খুবই ভালো লাগছে, চোখ যতদূর যায় ততদূর শুধু হলুদ আর হলুদ। গতবছরের ঘুরতে এসেছিলাম। গত বারের থেকে এবার একটু বেশি ভালো লাগছে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মামুন আল হাসান জানান,গত বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে সরিষার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, সরিষা চাষের জন্য এলাকার কৃষকরা বারি-১৭ বারি-১৬, ৪, এবছরের প্রথম বারি-১৮ জাতের সরিষা আবাদ করেছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা এবার বোরো চাষেও এর ভালো সুফল পাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন