উত্তর কোরিয়ার ঝানু কূটনীতিক শোয়ে সুন- হুইকে দেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন সেখানকার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
এতদিন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দেশটির সামরিক কর্মকর্তা রি সন গোয়ান, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন শোয়ে সুন- হুই। সর্বশেষ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপে দেশের কূটনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রি সন গোয়ান।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো ফোরামের বৈঠকে চোয়েকে দেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন কিম।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষিত শোয়ে সুন-হুই কোরিয়ান ভাষার পাশপাশি ইংরেজিতেও দক্ষ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে বৈঠকে করতে কিম জং উনের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে গিয়েছিল, সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন শোয়ে।
কোনো সিদ্ধান্ত এবং চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছিল সেই বৈঠক, এবং এজন্য সেসময় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছিল উত্তর কোরিয়া।
বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে শোয়ে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের প্রস্তাব বাতিল করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একটি সোনালী সুযোগ হাতছাড়া করল।’
সম্প্রতি পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ স্থবির পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে কয়েকবার কিমের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছে, তবে সেসব আহ্বানে সাড়া দেননি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।
এদিকে, চলতি বছরের গত ৫ মাসে উত্তর কোরিয়া ৬টি বিভিন্ন পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে শক্তিশালী আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সম্প্রতি বলেছেন— বর্তমানে উত্তর কোরিয়া সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এমনটা ঘটলে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্টমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন শোয়ে সন-হুই।